রাজনৈতিক মহলের মতে তৃণমূলের এই মুহুর্তের ফোকাস সাম্রাজ্য বিস্তার। শক্তি বাড়াতে চায় ঘাসফুল শিবির। সেই কারণেই ভোটে জেতার পরেও ক্রমাগত দলে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে দলত্যাগীদের। ঠিক এই কারনেই আজ ২-২ (পুরনো ফল এই চার আসনের) নয় ৪-এ ৪ করতে চায় তৃনমূল।
উত্তরবঙ্গে বিজেপির অস্তিত্ব দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় অনেকটাই বেশি। সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতি ব্যবহার করে বিজেপি সেখানে মতুয়া, রাজবংশী প্রভৃতি গোষ্ঠীকে আলাদা আলাদা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে। বিজেপির সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং যে কাটে নি তা প্রমাণ করতে এখনও মরিয়া তৃণমূল। মাত্র ৫৭ ভোটে হেরে যাওয়া দিনহাটায় এবার জিততে পারলে উত্তরবঙ্গে বিজেপির জমি সামান্য হলেও কমবে , আর সেটাই অভীষ্ট তৃণমূলের।
advertisement
আরও পড়ুন-চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন শুরু, আজ কি চারে চার তৃণমূলের? নাকি লড়বে বিজেপি?
খড়দহ তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ অবশ্য ব্যবধানটা রাখা। কারণ প্রার্থী হেভিওয়েট। খড়দহের লড়াইয়ে কাজল সিনহা বিজেপির শীলভদ্র দত্তকে ২৮ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন। ফল ঘোষণার অব্যবহিত পরেই করোনায় তাঁর মৃত্যু হয়। ভবানীপুরের আসন তৃণমূল নেত্রীকে উপহার দিয়ে এখানে কাজল সিনহার পরিবর্ত হিসেবে লড়তে এসেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কাজল সিনহার স্মৃতি এবং শোভনদেবকে যোগ্য সন্মান দিতে খড়দহে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল। আবার গোসাবা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি, সেখানে যে বিজেপি দাঁত ফোটাতে পারেনি তা প্রমাণ করতে চায় শাসকদল।
আরও পড়ুন-জামিনের নথি পৌঁছতে দেরি, আজও জেলেই থাকতে হবে শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানকে!
আজ হলে বিজেপির মান রক্ষা হবে। পুরভোটের প্রস্তুতিটা জমকালো ভাবে নিতে পারবে বিজেপি শিবির। আত্মবিশ্বাস বাড়বে নীচুতলার। এই লড়াইটা বিজেপির কাছে বিপর্যয় মোকাবিলার, ড্যামেজ কন্ট্রোলের। তৃণমূলের কাছে শক্তি প্রদর্শনের।