অভিষেকের এই মন্তব্য নিয়ে আজ, বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রবল রাজনৈতিক চর্চা। কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ দুপুর ১ টা ১৫ মিনিট নাগাদ তাদের দলে একজন বিশেষ ব্যক্তি যোগ দেবেন। সাউথ অ্যাভিনিউ দিল্লিতে, তৃণমূলের দিল্লির অফিসে সাংসদ সৌগত রায় ও ডেরেক ও'ব্রায়েনের উপস্থিতিতে সেই যোগদান হবে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। কাঁথির সভায় যোগদানের সিদ্ধান্তে আসার আগে অবশ্য একাধিক বার উপস্থিত জনতাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কার্যত সমর্থকদের রায় নিয়েই তিনি বলে দেন, ডিসেম্বরেই হয়ত কয়েকজন বিজেপি থেকে যোগ দেবে তৃণমূলে ৷ যদিও অভিষেক বলেন, ‘‘কাউকে মাথার উপর ছড়ি ঘোরাতে দেব না ৷ সাধারণ সমর্থকদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবেন তাঁরা ৷’’
advertisement
আরও পড়ুন- খাস কলকাতায় পুরসভার প্রাক্তন মেয়রের ঘর দখল! অভিযোগ কার দিকে?
কাঁথির জনসভায় উপস্থিত হয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “এই যে ওরা কথায় কথায় বলে, ডিসেম্বর ধামাকা, সরকার পড়ে যাবে। আপনারা জানেন, আমি দরজা যদি খুলে দিই তা হলে দলটা থাকবে না। খালি আপনাদের ভাবাবেগকে সম্মান দিয়েছি। কারণ দুঃসময়ে মীরজাফর, বিশ্বাসঘাতকদের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে তৃণমূলের কর্মীরা যে ভাবে লড়াই করেছেন তাঁদের মর্যাদা দিয়ে আমি দরজাটা খুলছি না। যদি দরজা খুলি বিজেপি দলটাই থাকবে না।”
আরও পড়ুন- অভিনব উপায় এটিএমে প্রতারণা, শিলিগুড়িতে দুই থানা ও এসওজির বিশেষ অভিযানে ধৃত ৮ দুষ্কৃতি
এরপর মঞ্চের সামনে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন ছোঁড়েন, “আপনারা বলুন দরজা খুলব? আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, একটু খুলে দিই দরজাটা। আগামী সপ্তাহে খুলি একটু ৫ সেকেন্ডের জন্য? তার পর আবার বন্ধ করে দেব। আমি একটু ছোট্ট করে দরজাটা খুলতে চাই।” অভিষেকের মন্তব্যের পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় উপস্থিত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। এরপর অবশ্য অভিষেক স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, “যারা প্রায়শ্চিত্ত করে দলের জন্য কাজ করবে তাদের বেছে বেছে তৃণমূলে নেওয়া হবে। তাঁরা কারও মাথার ওপর বসবে না এই দায়িত্ব আমি নিচ্ছি। আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি।”