পূর্ব রেল সূত্রের খবর, রিক্লাইনার চেয়ার থেকে শুরু করে ৪০ সেকেন্ডে তীব্র গতিতে দৌড়নোর ক্ষমতা আছে এই ট্রেনের। আছে ১১২৮ আসন৷ ট্রেন ১৬০ কিমি গতিতে ছুটতে সক্ষম। যদিও অপারেশনাল বিভাগ জানিয়েছে তারা ১৩০ কিমি বেগে চালাতে পারবে। পুরো সেকশনে এই গতি ধরে রাখার জন্য কাজ শুরু হয়ে গেছে। সিগন্যাল ও লাইনের পরিকাঠামো বদল হচ্ছে। এটাই হবে পূর্ব রেলের সবচেয়ে দ্রুতগতির ট্রেন। চেষ্টা হচ্ছে মাত্র ৭ ঘণ্টায় ট্রেন যাতায়াত করানোর। যদিও যাত্রী সুরক্ষা আগে প্রাধান্য।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে উত্তরবঙ্গ! জেনে নিন টাইম টেবিল
এই ট্রেনের ভাড়া শতাব্দীর চেয়ে একটু বেশি, বিমানের চেয়ে কম। ট্রেনের ইন্টিরিয়র যাত্রীদের তাক লাগিয়ে দেবে। এটা দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ট্রেন, তাই দেশের মানুষের কাছে এর কদর আলাদা। এমনটাই জানাচ্ছেন পূর্ব রেলের সিপিআরও একলব্য চক্রবর্তী৷
আরও পড়ুন: দেশের দ্রুততম ট্রেন এবার ছুটবে হাওড়া স্টেশন থেকে, শিলিগুড়ি যেতে লাগবে মাত্র 'এইটুকু' সময়
আপনি যদি হাওড়া থেকে শিলিগুড়ি ভ্রমণ করেন, তবে আপনাকে ট্রেনে প্রাতরাশ এবং দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হবে। আপনি যদি শিলিগুড়ি থেকে হাওড়া আসেন, তবে ট্রেনে আপনাকে চা-জলখাবার এবং রাতের খাবার পরিবেশন করা হবে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ১৬টি চেয়ার কার কোচ রয়েছে। যেখানে আবার দুই ধরনের বসার আসন আছে। প্লেনের মতো অনেকটা। একটি হল ইকোনমি এবং আরেকটি এক্সিকিউটিভ ক্লাস।তবে অভিনব বৈশিষ্ট্য হল, এক্সিকিউটিভ ক্লাসে ঘূর্ণায়মান চেয়ার রয়েছে যা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরতে পারে। মানে আপনি আপনার ইচ্ছা মতো আপনার বসার চেয়ার যেদিকে খুশি ঘুরিয়ে নিতে পারবেন, কোনও অসুবিধা নেই।
