তবে এই ঘূর্ণিঝড় থেকে সুপার সাইক্লোন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। ঘূর্ণিঝড় ঠিক কোথায় তৈরি হবে এবং শেষমেশ কোথায় আছড়ে পড়বে, তা মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেননি আবহাওয়াবিদরা ৷ কারণ, এই সময়ে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা থাকেই ৷ তবে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কালীপুজোর উদ্যোক্তারা ৷
advertisement
আরও পড়ুন- অভিনব উপায়ে গ্যাসের সমস্যা সারিয়ে তোলেন এই ‘ডাক্তার’! ভাইরাল ভিডিও দেখে তাজ্জব নেটদুনিয়া
নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে, তার নামকরণ করা হবে ‘সিতরাং’। প্রথমে বলা হয়েছিল যে, ১৪ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরে ঘূর্ণিঝড় সঞ্চালন তৈরি হতে পারে। যেটা তীব্রতা কমিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আরও পড়ুন-পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট, বিজেপির ‘নভেম্বর বিপ্লব’! রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে পদ্ম ব্রিগেড
ঘূর্ণিঝড়়ের অভিমুখ বদলে যেতেই পারে ৷ তাই পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে, আগেভাগেই কোনও পূর্বাভাস দিতে চায় না হাওয়া অফিস ৷ পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় নিয়ে চিন্তায় রয়েছে পাশের রাজ্য ওড়িশাও ৷ কয়েক দিন আগে সে রাজ্যের মুখ্য সচিব জানিয়েছিলেন, যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্ত বিভাগকে প্রস্তুত থাকার এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) অনুসারে সরঞ্জাম এবং মানবসম্পদ-সহ সমস্ত ব্যবস্থা করার কথা জানানো হয়েছে। একই ভাবে, সমস্ত গ্রামীণ এবং শহরাঞ্চলে সমস্ত চাপাকল কার্যকর অবস্থায় রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওষুধের পর্যাপ্ত স্টক, ব্লিচিং পাউডার, হ্যালোজেন ট্যাবলেট, অ্যাম্বুল্যান্স এবং ডাক্তারদের সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।