পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে হোমস্টে তৈরি করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে রাজ্য সরকার। এ বার পুজোর সময়ে কলকাতাতেও হোম-স্টে চালু করতে চায় রাজ্য। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র। তিনি বলেন, সরকারের তরফ থেকে পর্যটন ক্ষেত্রকে আরও চাঙ্গা করার জন্য একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে পুজোর এই মুহূর্তকে কাজে লাগানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ৭টি সাব কমিটি গঠন করেছেন। পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে শুরু করে ধর্মীয় স্থান, প্রতিটি ক্ষেত্রকে মাথায় রেখে পর্যটন শিল্পকে কী ভাবে আরও আকর্ষণীয় করা যায় তাই নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দুর্গোৎসবকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি, মোদি নাকি মমতার কৃতিত্ব? দড়ি টানাটানিতে সরগরম
বাবুল সুপ্রিয় জানান, পর্যটনে বাংলাকে শুধু ভারত সেরাই নয়, বিশ্বসেরা করার লক্ষ্যে এগোতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যে তৈরি হচ্ছে একাধিক পরিকল্পনা। এ বছর বাংলার দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। কলকাতাকে যে সম্মান তারা দিয়েছে তাকে সামনে রেখে বাংলার দুর্গাপুজোকে এ বার বিশ্বজনীন করে তোলার লক্ষ্যে আরও একধাপ এগোতে বদ্ধপরিকর রাজ্য। বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন, যাঁরা মনে করেন দেশের সবথেকে বড় পুজো মানেই গণেশ পুজো, তাঁদের একবার এসে কলকাতার দুর্গাপুজো দেখে যাওয়া উচিত। ভারতে বিদেশি পর্যটক আসার নিরিখে রাজ্যগুলির মধ্যে বাংলা ৭ নম্বরে রয়েছে। এ বার সময় হয়েছে আরও বড় স্বপ্ন দেখার।
আরও পড়ুনঃ আজ ফের অচল হবে কলকাতা! কলেজস্ট্রিটে SFI-র সর্বভারতীয় জাঠায় লক্ষাধিক জমায়েতের ইঙ্গিত
বাংলার সৌন্দর্যকে দুর্গাপুজোর মাধ্যমে সর্বস্তরে তুলে ধরার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য। সামনেই শীতকাল, পর্যটনের মরসুম। এ মরশুমে আরও বেশি করে পর্যটক টানতে এরই মধ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিতে শুরু করা হয়েছে বলেও জানান পর্যটনমন্ত্রী। UNESCO-কে ধন্যবাদ জানানোর মিছিলে হাজির ছিলেন প্রচুর বিদেশি পর্যটক। তবে এই কার্নিভ্যালের ব্যাপক প্রচার তুলে ধরতে চায় রাজ্য সরকার। তাই বাংলার পর্যটনে এ বার ভরসা দুর্গাপুজো।
ABIR GHOSHAL