ইতিমধ্যেই বিধানসভায় এ কথা জানিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শহরের পাশেই মফঃস্বল। তার পাশে আবার পঞ্চায়েত এলাকা। কিন্তু নগরজীবনের মান বদলানোর সঙ্গে সঙ্গেই অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সেতু, রাস্তা, পরপর উঁচু বিল্ডিং, মার্কেট কমপ্লেক্স গড়ে উঠছে। যা দেখে পুরসভা এলাকা নাকি পঞ্চায়েত এলাকা, বোঝা যায় না। অথচ, গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নিকাশি বা জঞ্জাল সাফাইয়ের ব্যবস্থাপনা প্রকৃত শহরাঞ্চলের মতো নয়। নগরায়নের এই বড় সমস্যা নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার। কোন কোন এলাকায় তা হয়েছে, এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই নতুন নগর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। যাকে ‘সেমি আরবান’ নীতি বলে উল্লেখ করেছেন মন্ত্রী।
advertisement
বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘শহর বা গ্রামের পুর এলাকা সংলগ্ন এমন অনেক জায়গা রয়েছে যা পঞ্চায়েতের আওতাধীন। কিন্তু সেখানেও শহরের মতো নগরায়নের ছাপ স্পষ্ট। একের পর এক জনবসতি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সেই অনুপাতে সঠিক নিকাশি ব্যবস্থা কিংবা জঞ্জাল সাফাই ব্যবস্থাপনা তৈরি করা যায়নি। এভাবে চলতে থাকলে সেইসব অঞ্চলের পরিবেশ আগামী দিনে ভয়ংকর হয়ে উঠবে। তাই পঞ্চায়েত দফতরের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আমরা বিশেষ নীতি আনতে চাইছি।’’
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান পর্ব অব্যাহত
ফিরহাদ হাকিমের প্রস্তাবিত এই নীতি তৈরি হয়ে গেলে শহর সংলগ্ন ওইসব পঞ্চায়েত এলাকাতেও আধুনিক শহরের মতোই পরিষেবা দিতে কোনও বাধা থাকবে না। সেই বিশেষ ‘সেমি আরবান ল্যান্ড ইউজ পলিসি’-র সাহায্যেই এই পদক্ষেপ সম্ভব বলে জানান মন্ত্রী। ইতিমধ্যেই কেএমডিএ-এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন।
