কলকাতাকে বাদ দিয়ে রাজ্যে এই মূহুর্তে মোট মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভার সংখ্যা ১১১টি। হাইকোর্টে রাজ্যের সব বকেয়া পুরভোট এক সঙ্গে করার দাবি জানিয়ে দু'টি মামলা হয়। এর মধ্যে একটি মামলা ছিল বিজেপির। হাইকোর্ট দু'টি মামলাকে এক সঙ্গে নিয়ে শুনানির পর আজ বাকি পুরভোট কবে এবং কত দফায় করতে চায় রাজ্য, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে দিনক্ষণ জানাতে বলেছে। একই সঙ্গে, বকেয়া সব পুরভোট যতটা সম্ভব কম দফায় করার বিষয়টিও রাজ্যকে বিবেচনার মধ্যে রাখতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৩ শে ডিসেম্বর। ঐ দিনেই এ বিষয়ে রাজ্যকে তার অবস্থান জানাতে হবে।
advertisement
পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তা বলেন, "আমরা ফেব্রুয়ারিতে, পাঁচ দফায় ভোট করার কথা ভেবেছি। কেন পাঁচ দফায় ভোট সে বিষয়েও আমরা আদালতকে বোঝাব। এর পরেও, আদালত দফা আরও কম করার কথা বলতেই পারে। " এর আগে, বকেয়া পুরভোট ছয় থেকে আট দফায় করার কথা জানিয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের সেই সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেছিল বিজেপি। পর্যবেক্ষকদের মতে, এখন, দফা কম করার বিষয়টি সরাসরি আদালত বিবেচনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়ায়, দফা কম করে পাঁচ দফায় সম্পূর্ন করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। মন্ত্রকের ওই আধিকারিক বলেন, "আট দফার পরিবর্তে পাঁচ দফায় ভোটের প্রস্তাব, আদালতের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে বলেই আমরা মনে করছি।"
আরও পড়ুন: 'প্রত্যেক ভারতবাসীর অন্তত একবার কলকাতার দুর্গাপুজো দেখা উচিৎ': নরেন্দ্র মোদি
বকেয়া সব পুরভোট নতুন ভোটার তালিকা ধরে করার কথা আগেই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সব ঠিকঠাক থাকলে, আগামী ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা। নিয়ম মেনে ঐ তালিকা প্রকাশের পর তা নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে তাকে "এডপ্ট" করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। এর পর ঐ বিধানসভা ভিত্তিক ভোটার তালিকাকে পুরভোটের উপযোগী করে তৈরি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে সর্বাধিক এক মাস লাগবে।
আরও পড়ুন: কলকাতার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ স্বীকৃতি, ইউনেসকোর ঘোষণায় তিলোত্তমার ঐতিহ্য
ঐ হিসাবে, ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরভোটের জন্য ভোটার তালিকা সম্পূর্ন হয়ে গেলে তা ধরে ভোট হতে কোনও বাধা থাকবে না। সে ক্ষেত্রে, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ পুরভোট শুরু করা সম্ভব। ৭ মার্চ রাজ্যের স্কুলগুলিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। তার আগে পুরভোট সেরে না ফেলতে পারলে এপ্রিলে উচ্চমাধ্যমিক শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভোট করা যাবে না। সে কারনে, ফেব্রুয়ারিতেই পুরভোটের জন্য কমিশনও তলায় তলায় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। তবে, পুরভোটে বাহিনীর প্রশ্নটি এখনও চূড়ান্ত নয়। আগামীকাল আদালতে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হতে পারে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে এখনও নাছোড় বিজেপি। কংগ্রেস ও ঘুরপথে বামেরাও সেই দাবি সমর্থন করেছে। যদিও, রাজ্য পুলিশই পুরভোটের জন্য যথেষ্ট এমনটাই মনে করে রাজ্য।
Arup Dutta