কলকাতা: স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন নিয়ে জেলাশাসকদের প্রশিক্ষণ। জেলাশাসকদের পাশাপাশি ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO), অ্যাডিশনাল ইলেক্টরেল রেজিস্টেশন অফিসার (AERO)সহ জেলা স্তরের আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। দুপুর ৩. ৪৫ থেকে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করা হল। জেলায় জেলায় স্পেশাল ইন্তেনসিভ রিভিশন নিয়ে কিভাবে কাজ হবে? বুথ লেভেল অফিসারদের প্রশিক্ষণের জন্য কী কী গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে? বিস্তারিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে জানানো হবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দফতর থেকে।
advertisement
রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরাও দিল্লি থেকে যোগ দিলেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার সহ কমিশনের কয়েকজন আধিকারিক বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বলে কমিশন সূত্রে খবর। এই বৈঠক শুধুমাত্র রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গেই হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
গত সোমবার দুই নির্বাচন কমিশনার, এসএস সান্ধু ও বিবেক জোশীকে পাশে বসিয়ে দেশের ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ (এসআইআর) চালুর ঘোষণা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার। তাঁর ঘোষণা, ‘‘বিহারে সফল ভাবে এসআইআর হয়েছে। কেউ একটিও ভুল ধরাতে পারেননি। এ বার ধাপে ধাপে সারা দেশেই তা হবে।’’
দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে সিইসি সোমবার জানিয়েছেন, দ্বিতীয় পর্বের এসআইআর (প্রথম পর্বে হয়েছে বিহারে) হবে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লক্ষদ্বীপ, পুদুচেরি, আন্দামান ও নিকোবরে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল এবং পুদুচেরিতে আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে বড় ঘোষণা! নীতীশ নিয়ে অবশেষে সিদ্ধান্ত, ‘কোনও আসন খালি থাকবে না’
প্রসঙ্গত, ১৯৫১ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দেশে এসআইআর হয়েছে আট বার। ২১ বছর আগে শেষ বার এসআইআর হয়েছে— ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত। বিহার থেকে শুরু হয়েছে নবম বারের পালা।
