এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘‘এখন সংবাদমাধ্যমকে অনেক কিছু বলছেন রাজ্যপাল। কিন্তু তাঁর কথা এখন সরকার শুনবে না।’’ শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন, ‘‘সরকারের কাছ থেকে রাজভবনে নতুন কমিশনার নিয়োগের ব্যাপারে তিনজনের নামের তালিকা গিয়েছিল।’’
সেই তিনজনের নামের তালিকা তুলে ধরে শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘‘রাজীব সিনহাকে নিয়োগ করার আগে রাজ্যপালের উচিত ছিল গোয়েন্দা বিভাগ সহ বিভিন্ন মহল থেকে ওই তিনজনের ব্যাপারে বিশদে খোঁজখবর নেওয়া৷ তার পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল তাঁর। তা না করে উনি মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের রাজীব সিনহার নামে সিলমোহর দিয়ে দিলেন।’’
advertisement
শনিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বঙ্গ বিজেপির এক প্রতিনিধিদল রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দিকে দিকে অশান্তি সহ নানান ইস্যু নিয়ে সরব হয়। এর পরে পরেই দেখা যায় রাজ্যপালের তরফে কমিশনার রাজীব সিনহাকে রাজভবনে তলব করা হয়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে সমস্ত ব্যবস্থা নিতে বলেন।
সূত্রের খবর, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত করতে হবে। কোনও রকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না বলে কমিশনারকে সাফ জানিয়ে দেন রাজ্যপাল। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ব্যাপারে কড়া বার্তা দেন। পরবর্তী সময়ে দেখা যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আগামী ১৩ জুন সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়।
রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী শিবির যে সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকেই কিভাবে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। যদিও শুভেন্দু অধিকারী কমিশনের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘আমরা গণতন্ত্র মেনে চলা দল। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সেই সর্বদলীয় বৈঠকে যাওয়া মানে ওয়েস্টেজ অফ টাইম।’’
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী