পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছিল এই ভাঙড়৷ বোমা, গুলির সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিলেন জ্বলজ্যান্ত তিনজন৷ এমনকি, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে অশান্তির নিষ্পত্তি চেয়ে নবান্নেও চলে গিয়েছিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি৷ পরে অশান্তির আশঙ্কায় নিজের জন্যেও নিরাপত্তা দাবি করেন তিনি৷ অন্যদিকে, ক্যানিংয়ে তৃণমূল এবং যুব তৃণমূলের সংঘর্ষেও তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় মনোনয়ন পর্বে৷
advertisement
আরও পড়ুন: হাতের পাঁচ ৩৩৭ নিয়েই কাজ শুরু কমিশনের! কোন কোন জেলায় বিশেষ নজর? রইল বিস্তারিত তালিকা
সব মিলিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণার এই দুই জায়গায় যাতে ভোটের দিনে কোনও রকম উত্তেজনা না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে আগে ভাগেই তৈরি থাকতে চাইছে কমিশন৷
সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগণায় এখনও পর্যন্ত বরাদ্দ ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বারুইপুর পুলিশ জেলার জন্যই মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই বারুইপুর পুলিশ জেলার মধ্যে ভাঙড়ের জন্যই ৭ থেকে ৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে।
আরও পড়ুন: ঠিক কত পেলে পাশ করা যাবে টেট? নম্বর নিয়ে বিরোধ দুই বিচারপতির মধ্যেই, নজিরবিহীন ঘটনা
জানা গিয়েছে, ভাঙড়ের বেশিরভাগ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে৷ ফ্লাইং ওয়ার্ডের মাধ্যমেও কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতায়াত করবে।ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে এক প্রস্থ বৈঠক হয়েছে বলেও কমিশন সূত্রে খবর। মনোনয়ন পর্ব থেকে শিক্ষা নিয়েই ভাঙড় নিয়ে বাড়তি সতর্ক রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
ভাঙড়ের প্রত্যেকটি বুথেই নির্বাচন হবে। যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে একটি বা দুটি বুথ থাকবে সেখানে চারজন বা ৮ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হবে। ভাঙড়ের বেশিরভাগ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চায় কমিশন বলেই সূত্রের খবর।