নতুন করে পাঁচজনের দেহে ওমিক্রনের হদিশ। তারই মধ্যে বর্ষশেষের উল্লাস চলছে। খোলা রয়েছে সমস্ত বিধিনিষেধ। নতুন আক্রান্ত মেলার পরই শুরু হয়েছে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের কাজ। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেল রাজ্যে? করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতাই ফের একবার মনে করিয়ে দিচ্ছে এই ঘটনা। তারই সঙ্গে দেশ-সহ রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দিচ্ছে ওমিক্রনের একের পর এক সংক্রমণের খোঁজ।
advertisement
আরও পড়ুন: নতুন আতঙ্ক ওমিক্রন, কাদের সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? জানুন
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ১০৭ টি জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্ট এসেছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনের রিপোর্ট ওমিক্রন পজিটিভ। গত কয়েকদিন ওমিক্রন আক্রান্তরা কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কলকাতার দুই বাসিন্দা এবং দমদম-হাওড়ার করোনা আক্রান্তদের শরীরে সেভাবে কোনও উপসর্গ না থাকায় আপাতত তাঁদের বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। কলকাতার ক্ষেত্রে জিনোম সিকোয়েন্সের যে নিয়ম সেই নিয়মেই অর্থাৎ করোনা আক্রান্ত এবং সিটি ভ্যালু ৩০-এর নীচে থাকলে জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়। আর সেখানেই নতুন করে ৫ জনের ওমিক্রন পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। ফলে এই ঘটনা গোষ্ঠী সংক্রমণেরই ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: আবার কি বন্ধ হচ্ছে লোকাল ট্রেন? গঙ্গাসাগর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বললেন...
অন্যদিকে, প্রয়োজন পড়লে কনটেইন্টমেন্ট জোন ফিরিয়ে আনা হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগরে বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'কোভিড নজরে রাখো। সেরকম হলে ক'দিন স্কুল, কলেজ ছুটি দেব। বাইরের উড়ান আসায় কোভিড বেশি ছড়িয়েছে। অনেকে ধরাও পড়েছে। কলকাতায় কনটাইমেন্ট জোন করতে হলে দেখে নাও। ওয়ার্ড ধরে ধরে দেখো। ৩ জানুয়ারি থেকে দেখে নাও।'