তাঁদের অভিযোগ, স্বাধীনতার পর থেকে বেতন বৈষম্যের শিকার রাজ্যের সর্বস্তরের নার্সরা। ২০০৫ সালের পর থেকে নার্সদের কোনও বেতন বৃদ্ধি হয়নি। কেন্দ্রীয় হারে বেতন কাঠামো রাজ্যের সর্বস্তরে নার্সদের দিতে হবে। এই দাবি নিয়ে অতীতেও এই সংগঠন বারবার আন্দোলনে নেমেছিল। সর্বশেষ গত বছর নভেম্বর মাসে দীর্ঘদিন ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে নার্সরা ৩৫ জন নার্স অবস্থান, অনশন, আন্দোলনে সামিল হন। সেই সময়ই নার্সেস ইউনিটির পক্ষ থেকে সভাপতি পার্বতী পাল জানান, গত বছরের ২৬ জুলাই থেকে ৬ অগাষ্ট পর্যন্ত ১২ দিন ধরে এই একই দাবিতে অনশন প্রতিবাদ আন্দোলন করা হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামে হাতির হানায় মৃত ৩, শহরে ঢুকেই তান্ডবলীলা দাঁতালদের! ভয়ঙ্কর অবস্থা
সেই সময় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন তাঁদের এই দাবি সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হবে। বিষয়টির কোনও সমাধান না হওয়ার কারণে প্রায় ১৯ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। আন্দোলনকারী ৩৫ জন নার্সকে অন্যায়ভাবে সেই সময় বদলির প্রতিবাদে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন তাঁরা। এরপর স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বলে দাবি নার্সদের সংগঠনের। যদিও সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি বলেই অভিযোগ।
আরও পড়ুন: জেলে শুরুর রাত থেকেই মহা সমস্যায় ফিশচুলার রোগী অনুব্রত মণ্ডল, কী বিপদ!
এই বিষয়টি আদালত অবধিও গড়ায়। ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর হাইকোর্টে শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ নার্সদের দাবি মেটানোর কথা বললেও সরকার তা করেনি বলেই অভিযোগ এই সংগঠনের। এমনকী নার্সদের বক্তব্য, তাঁদের আন্দোলনের ধার নষ্ট করতে এদিক ওদিক বদলি করে দেওয়া হচ্ছে নার্সদের। বৃহস্পতিবার বেলা ২ টো সময় এক বিশাল মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে এই প্রতিবাদ আন্দোলনকে আরও তীব্রতর করে তোলার জন্য।
রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের কয়েক হাজার নার্স এই প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হবে বলে দাবি করেছেন নার্সেস ইউনিটি। প্রসঙ্গত, গত বছরও ২১ নভেম্বর এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে এক্সাইড মোড় পর্যন্ত মিছিল করে এসে পথ অবরোধ করেন নার্সরা। ফলে এদিনের মিছিলকে কেন্দ্র করে আবার কোনও উত্তেজনার সৃষ্টি হয় কিনা সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।