শুভেন্দু অধিকারী এই প্রসঙ্গে বলেন, “দেশবিরোধী কথা যারা বলেন তাঁদের একটা ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি বসানো-সহ যে সব নির্দেশিকা হাইকোর্টের প্রাক্তণ প্রধান বিচারপতি দিয়েছিলেন, সে সব মানা হয়নি। কেন মানা হয়নি, সেটা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে জানতে চাই।” পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, “প্রাক্তণ উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলেন প্রাক্তণ শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।”
advertisement
মূলত যাদবপুর কাণ্ডে ৪টি প্রধান প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী।
১) মঞ্জুলা চেল্লুরের নির্দেশিকা কেন কার্যকর করা হল না?
২) কেন অভিজিৎ চক্রবর্তীকে পদ থেকে সরানো হল?
৩) ব়্যাগিং (ragging) রুখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?
৪) র্যাগিং রুখতে সরকার কি ব্যবস্থা নিচ্ছে
আরও পড়ুন: বাম্পার ছাড় দিচ্ছে সরকার…! পেঁয়াজ 25 টাকা, টম্যাটো 40 টাকা ! কোথায় পাবেন?
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা যা ব্যবস্থা নেওয়ার সেটা আমরা নিচ্ছি। রাঘবেন্দ্র কমিটির সুপারিশ কার্যকর করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে সারা দেশেই অনেক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও ব়্যাগিং রোখা যায়নি। সম্প্রতি খড়গপুর আইআইটিতেও এমন ঘটনার খবর সামনে এসেছে। বিরোধী দলনেতা এই সময় বলেন, “আপনি তো ব়্যাগিংকে সমর্থণ করছেন। আপনি বিভাজন করছেন।”
পাল্টা ব্রাত্য বসু বলেন, “রাজ্যপাল নিজের ইচ্ছামতো উপাচার্য নিয়োগ করছেন। কিছুদিন আগেই রাজ্যপাল যে ভাবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে সরিয়েছেন। আমি তো মনে করছি এই ঘটনার জন্য রাজ্যপাল একশো শতাংশ দায়ী। রাজ্যপাল নির্ধারিত নতুন উপাচার্য আসার পরে যে রিপোর্ট ইউজিসিকে দেওয়া হয়েছে তাতে তো ইউজিসি সন্তুষ্ট হয়নি। আমি মুক্ত চিন্তার পক্ষে। তবে স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যে একটা ফারাক আছে সেটা বোঝা উচিৎ।”
আরও পড়ুন: বাম্পার ছাড় দিচ্ছে সরকার…! পেঁয়াজ 25 টাকা, টম্যাটো 40 টাকা ! কোথায় পাবেন?
ব্রাত্য বসু আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ভাবে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন। আমরা পাশে থাকার বার্তা দিয়েছি। ছেলেটাকে ফেরাতে পারেনি। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা উনি উল্লেখ করেছেন। আমাদের রাজ্যের নয়া রাজ্যপাল রাজ্যের সাথে কোনও আলোচনা না করে উপাচার্য নিয়োগ করছেন। রাজ্য সরকারের আদেশ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের। রাজ্যের নিয়োগে থাকা উপাচার্যকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। রাজ্যপাল ১০০% দায়ী।