আরও পড়ুন-অ্যাঙ্কিলুজিং স্পন্ডিলাইটিস নিয়ে কী বলছেন চিকিৎসকেরা? কীভাবে যত্ন নেবেন নিজের?
রাজ্যের অন্যতম নজরকাড়া নির্বাচন ছিল বিধাননগর পুরনিগমের।বিরোধী রাজনৈতিক দল বিধাননগরের ভোট নিয়ে নানা ভাবে রাজনৈতিক আক্রমণ শানিয়েছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও বিধাননগরের জয় নিয়ে প্রথম থেকেই নিশ্চিত ছিল তৃণমূল। আর এই পুরনিগমের ভোট নিয়ে বিশেষ নজরে ছিল দুই মন্ত্রী সুজিত বোস ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পারফরম্যান্স। সুজিত বোস বিধাননগরের বিধায়ক। বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বিধাননগরের বাসিন্দা। পুরভোটের দিনে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিল বিজেপি।
advertisement
বিধাননগরের ভোটের সাথে যুক্ত ছিল আরও দুই বিধায়ক তাপস রায় ও অদিতি মুন্সির নাম। ছিল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের নজরও। কারণ এটি তার সংসদীয় এলাকার মধ্যে। তাপস রায়ের কন্যা ছিলেন বিধাননগর পুরনিগমের প্রার্থী। অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তী ছিলেন বিধাননগর পুরনিগমের প্রার্থী। এদিন ফল বেরনোর পরে খুশি সকলেই। তবে দুই মন্ত্রী বেশি খুশি জয় ছিনিয়ে আনতে পেরে৷ সদ্য দলের জাতীয় কর্মসমিতিতে জায়গা পাওয়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, ‘‘জয়ের ব্যাপারে আমরা ১০০% নিশ্চিত ছিলাম। সবাই একসাথে লড়াই করেছি। প্রচার করেছি। গত কয়েক বছরে আমরা মানুষের জন্য এলাকায় যা কাজ করেছি তার ফল আমরা আজ পেলাম৷ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে খুশি। তাই তার প্রতি আর একবার আস্থা দেখালেন বিধাননগরের মানুষ।"
আরও পড়ুন-আগামিকাল থেকেই আরও বাড়বে তাপমাত্রা, শীতের বিদায়পর্ব শুরু
২০২১-এর নির্বাচনে বিধাননগরের ভোটে সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে লড়াই করেন সুজিত বোস। বিজেপির টিকিটে লড়াই করা সব্যসাচীকে হারিয়ে দেন জোড়া ফুল প্রতীকের সুজিত বোস। এই পুরভোটে অবশ্য সেই সব্যসাচী দত্ত লড়াই করেন তৃণমূলের টিকিটেই। সুজিত-সব্যসাচীর সম্পর্ক নিয়ে একাধিক জল্পনা থাকলেও। বিধাননগরের জয় নিয়ে খুশি রাজ্যের দমকল মন্ত্রী। এদিন সুজিত বোস জানিয়েছেন, ‘‘আমরা সারাবছর মানুষের পাশেই থাকি। বিধানসভা ভোটেও বিধাননগরের মানুষ আস্থা দেখিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি। এবারও তারা সেই আস্থা দেখালেন।’’
ফলে বিধাননগরের জয় নিয়ে খুশি রাজ্যের দুই মন্ত্রী। রাজ্যের অন্যতম নজরকাড়া পুরনিগমের ভোট ছিল হুগলি নদীর তীরে চন্দননগরে। ফরাসডাঙ্গার ভোট নিয়ে আগ্রহ ছিল রাজনৈতিক মহলেও। চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন একাধারে মন্ত্রী। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের পুরনিগমের ভোটে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ইন্দ্রনীল। প্রচারে বেরিয়ে কাউন্সিলর প্যাড ছাপিয়ে রাখতে বলেছিলেন মন্ত্রী-বিধায়ক।
এদিন জয়ের পরে খুশি ইন্দ্রনীল বলেন, ‘‘মানুষ আমাদের প্রতি পূর্ণ আস্থা দেখিয়েছে। চন্দননগরের জন্যে আমরা একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করছি। আগামী দিনে আমাদের পুরবোর্ড আবারও সেই কাজ করবে।’’ দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম নজরকাড়া পুরনিগম ছিল আসানসোল। বৃহত্তর এই পুরনিগমের ভোটের দেখভাল করেছেন মলয় ঘটক। আসানসোলের জয় পেয়ে খুশি মলয় ঘটক। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে আসানসোল জিতে নেয় বিজেপি ৷ সাংসদ নির্বাচিত হন বাবুল সুপ্রিয়। সেই বাবুল অবশ্য বাংলার ভোটের পরে ছেড়ে দেন বিজেপি ৷ যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আবার আসানসোলের মেয়র থাকা তৃণমূলের জিতেন তিওয়ারি দল বদল করে নাম লেখান বিজেপিতে ৷ যদিও চলতি পুরভোটে তিনি বিজেপির থেকে টিকিট পাননি। তাঁর স্ত্রী অবশ্য টিকিট পেয়েছিলেন।
এদিন মলয় ঘটক জানিয়েছেন, ‘‘অনেকরকম ভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু পারেনি। আসানসোলের মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা তৃণমূলকেই চান। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাজের প্রতি তাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’’ ফলে দক্ষিণবঙ্গের তিন পুরনিগমের ভোটে ম্যাচ জেতানোর ইনিংস খেললেন রাজ্যের চার মন্ত্রী।