সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যকে অধিকারমুখী (Health as a Right) না করে বিমামুখী করা হচ্ছে বলে মনে করছে এই চিকিৎসক সংগঠন৷ এর অর্থ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থেকে ধীরে ধীরে সরকারের দায় লাঘব করা।
আরও পড়ুন : বাজেটে অর্থনৈতিক মহলের মিশ্র প্রতিক্রিয়া, যা জানাল বিভিন্ন বণিকসভা...
সংগঠনের প্রশ্ন সকলের জন্য স্বাস্থ্যের কথা বলা হয়েছিল, কোথায় গেল সে সব? জনস্বাস্থ্য নিয়ে দিকনির্দেশকারী শ্রীনাথ রেড্ডির নেতৃত্বাধীন উচ্চস্তরীয় বিশেষজ্ঞ দলের সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৭-র মধ্যে ২.৫% এবং ২০২২-এর মধ্যে জিডিপির ন্যূনতম ৩.৫% স্বাস্থ্যখাতে সরকারের খরচ স্বপ্নই থেকে গেল। এমনকি ২০১৭-র জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি জিডিপির যে ২.৫% স্বাস্থ্যখাতে খরচ করার কথা বলেছিল তাও গুরুত্ব পেল না, প্রতিক্রিয়া চিকিৎসক মহলের৷
advertisement
তাঁরা মনে করছেন স্বাস্থ্যকে আরও বেশি করে কর্পোরেটমুখী করার সমস্ত সম্ভাবনা রয়েছে এই বাজেট প্রস্তাবে। মধ্য, ছোট ও প্রান্তিক ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো ধুঁকছে এবং আগামী দিনে আরও বেশি ধুঁকবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের তাবড় নেতাদের পিছনে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী! মোদির ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা পেরলো ১ কোটি!
কোভিড পরিস্থিতিতে রীতিমতো ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন সব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ বিগত দু'বছর ধরে স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে সচল রাখতে গিয়ে তাঁদের অনেকের মৃত্যু হয়েছে৷ অথচ তাঁদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের কোনও ঘোষণা নেই (Union Budget 2022), যা হতাশ করেছে চিকিৎসকমহলকে।
মানসিক রোগের জন্য ২৩ টি টেলিকন্সাল্টেশন কেন্দ্র- বাজেটের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে চিকিৎসক সংগঠন৷ কিন্তু ভারতের মতো সুবিশাল দেশে মানসিক রোগের জন্য ২৩টি কেন্দ্র কতটা সমাধান করবে সেটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা৷ বিদ্রূপ করতেও ছাড়ননি তাঁরা৷ জানিয়েছেন, এই বাজেটের (Union Budget 2022) পর আরও বেশি করে দেশবাসীর ও কোভিড যোদ্ধাদের মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার দরকার লাগবে। তার জন্যই সম্ভবত এই আগাম উদ্যোগ৷
কিছুটা অন্য সুর বিড়লা হাসপাতালের (Ck Birla Hospital) সিইও (CEO Dr. Simmardeep Gill)-র গলায়৷ তিনি বলেছেন, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অর্থমন্ত্রীর এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়৷ কোভিড পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত আমরা যে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছি, সেখানে মানসিক স্বাস্থ্যে গুরুত্ব দেওয়া দরকার ছিল৷