বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি কোনও ক্যাজুয়াল লিভ বা কোনও ধরনের ছুটি দেওয়া হবে না। অর্ধ দিবস বা হাফ ছুটিও দেওয়া হবে না। এ ক্ষেত্রেও রাজ্য অর্থ দফতর আরও কড়া মনোভাব নিয়েছে। দু' দিন যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন বা দু' দিনের মধ্যে যে কোনও একদিন যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের "সার্ভিস ব্রেক" হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: জিএসটি বাবদ রাজ্যের বকেয়া মেটাবে কেন্দ্র, তবে শর্ত দিলেন নির্মলা
শুধু তাই নয়, নির্দেশিকা না মানলে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের শোকজ করা হবে। শোকজ-এর উত্তর যথাযথ না হলে বা তিনি কেন অনুপস্থিত হয়েছেন, তার উত্তর যথাযথ না এলে তাঁকে বিভাগীয় তদন্তের সম্মুখীন হতে হবে। তিনি যে অনুপস্থিত থেকেছেন তার স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় নথিও দেখাতে হবে। এবং ওই দু' দিনের জন্য কোনও বেতন দেওয়া হবে না। গোটা প্রক্রিয়াটি ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করা হবে।
অর্থাৎ, এক্ষেত্রে কোনও কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হলে বা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হলে সে ক্ষেত্রে ২৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যেই গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ করা হবে বলেও রাজ্য অর্থ দফতরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হল। মনে করা হচ্ছে, এই নির্দেশিকার মাধ্যমে রাজ্য ডিএ ইস্যু নিয়ে আন্দোলনকারীদের জন্য কড়া বার্তা দিল।
আরও পড়ুন: আর ক'দিন পরেই মাধ্যমিক! জারি জরুরি গাইডলাইন, দেখে নিন একনজরে
রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের ৩ শতাংশ বকেয়া ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়৷ রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা৷ সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে মন্তব্য করেছিলেন, 'আমি তো ম্যাজিশিয়ান নই। আমি গুপী, গাইন বাঘা বাইনও নয়।' সেই সময় মনে করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের কড়া বার্তা দিচ্ছেন। আর এ দিনের রাজ্য অর্থ দফতরের নির্দেশিকার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গেল, সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোনও কর্ম বিরতি বা পেন ডাউন রাজ্য মেনে নেবে না।
যদিও এর আগেও কোনও বনধ বা কোনও ধর্মঘট হলে সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ওই দিন উপস্থিতি বাধ্যতামূলক হিসেবে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, সেই পথে হেঁটেই এই ধরনের কোনও কর্মবিরতি রাজ্য যে মেনে নেবে না, তা এই দিনের নির্দেশিকার মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিল। যদিও এই নির্দেশিকার পরেও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে কোনও অবস্থান জানা যায়নি।