এমন জয়ের স্বাদ পেয়ে কেমন লাগছে তাঁর? পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, 'লিড না, মানুষের কথা ভাবি। কী ভাবে বেহালায় কাজ করেছি। কোভিডের মোকাবিলা করেছি। এটা মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থার ফসল। মানুষ সব জানেন। আমরা তো বলেছিলাম, আমি পিকের সঙ্গে একমত। তিন অঙ্ক ছুঁতে পারবে না বিজেপি। খুব বেশি হলে ৭০-৮০। কীেভাবে মমতা উন্নয়ন করেছেন, কীভাবে সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, যে ভাবে আমফান ও করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, মানুষের পাশে থেকে অবিচারের বিরুদ্ধে যেভাবে সরব ছিলেন তারই প্রতিফলন হয়েছে ভোটবাক্সে।'
advertisement
বিজেপির এত নেতারা বাংলা দখলে মরিয়া হয়ে বার বার ভোটপ্রচারে এসেছেন। বাদ যাননি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপরেও বিজেপির এমন ফল কেন? পার্থর মন্তব্য, 'এটা বাঙালিকে যাঁরা আত্মসম্মানে আঘাত দিতে চেয়েছিল, সমস্ত মানুষ বাংলার জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। মমতাই একমাত্র মুখ যে বাংলাকে বাঁচাতে পারে।'
করোনা মোকাবিলার পরিকল্পনা প্রথম থেকেই ছিল বলে এদিন দাবি করেছেন পার্থ। তাঁর দাবি, 'করোনাকে প্রতিহত করবার যে শর্তাবলী পালন করার কথা সে ব্যাপারে উদাসীন ছিল নির্বাচন কমিশন। প্রথম থেকে মমতা আট দফার বিরোধিতা করেছেন। নির্বাচন কমিশন একেবারেই তৎপর নয়। আমরা তৈরি আছি। প্রচারের শেষেই করোনা প্রতিরোধ করার মিটিংয়ে গিয়েছিলেন মমতা। আমাদের সরকার মানুষের পাশেই আছে। ভবিষ্যতের পরিকল্পনা মমতাই বলবেন। বাংলার মানুষ তাঁর উপর বিশ্বাস রাখেন। বাংলাকে বিশ্ববাংলা করবেন মমতাই।'
এদিন সংযুক্ত মোর্চার নীতি নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন তুলেছেন পার্থ। বিধানসভা নির্বাচনে এতটা খারাপ ফলের কারণ হিসেবে তিনি মনে করেন, 'মোর্চাদের নীতিহীনতার ফল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে আহ্বান জানিয়েছিলাম। তাঁরা সে পথে যাননি। নিজেদের আত্ম অহমের ফলে লড়াই থেকে সরে গিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন আমি লড়াই চালিয়ে যাব। গোটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা, বিজেপির বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রীরা মমতা রোজ এসে আক্রমণ করেছেন। কিন্তু পারেননি।'
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া পার্থীদের নিয়ে পার্থর কটাক্ষ, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই বলছি, যাঁরা গিয়েছেন সেটা ভুল সিদ্ধান্ত। মানুষ সেটা বুঝিয়ে দিলেন। মানুষ তার যোগ্য দবাব দিয়েছেন। গণতান্ত্রিক ভাবে লড়াই করতে হবে, কোনও ষড়যন্ত্র করলে হবে না। আমাদের পথ শান্তি, প্রগতি, উন্নয়নের পথ। উচ্ছ্বাসকে সংযত করতে হবে।'
