গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিন হাজার। স্বাস্থ্যভবনের শুক্রবারের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তদের (West Bengal Covid Update) মধ্যে ৭ হাজার ৪৮৪ জন কলকাতার বাসিন্দা। দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে এটা সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (৩, ১১৮)।
তৃতীয় স্থানে থাকা হাওড়ায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬০ জন। আর চিন্তা বাড়িয়ে হাজারের গন্ডি পার করল পশ্চিম বর্ধমানও ( ১,০৪৩)। সবমিলিয়ে এদিন রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭ লক্ষ ১১ হাজার ৯৫৭ জন।
advertisement
আরও পড়ুন: এই শহরে শুরু হয়ে গেল 'আংশিক লক ডাউন', রবিবার সব দোকান বন্ধ, কোথায়?
রাজ্যে (West Bengal Covid Update) অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্য়া বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজারেরও বেশি বেড়ে তা এই মুহূর্তে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ৩৮৪। রাজ্যে মোট করোনা রোগী ১৭ লক্ষ ১১ হাজার ৯৫৭। মৃত্যু হয়েছে মোট ১৯, ৮৬৪ জনের। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। তাদের মধ্যে ৭ জন কলকাতার, ৩ জন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। বাকিরা দক্ষিণ ২৪ পরগনা ( ২), হাওড়া (২), হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা।
রাজ্যে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১৬, ৪০,৭০৯। সুস্থতার হার ৯৫.৮৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৯,১৫৮ টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ২৬.৩৪ শতাংশ রিপোর্টই পজিটিভ। বৃহস্পতিবারও যা ছিল ২৪ শতাংশের আশপাশে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ক্রমাগত ঊর্ধমুখী রাজ্যের গ্রাফ। চিকিৎসকদের পরামর্শ, সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙতে মাস্ক পরতেই হবে। মেনে চলতে হবে কোভিডবিধি।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যে রাজ্যজুড়ে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। তবুও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। এবার জমায়েতে লাগাম টানতে শহর ও শহরতলির একাধিক বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে স্থানীয় পুরসভা। এর মধ্যে যেমন রয়েছে রাজপুর-সোনারপুর, ক্যানিং, বারুইপুর তেমনই রয়েছে বারাকপুর, দক্ষিণ দমদমের (South Dum Dum) মতো এলাকা।
আরও পড়ুন: শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিল হাইকোর্ট, নজরদারিতে তিন সদস্যের কমিটি
কলকাতাতেও হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে একাধিক আবাসনকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। রোজই বাড়ছে এই সংখ্যাটা। শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০। চলছে সতর্কতামূলক প্রচার। নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশও। বাজারগুলিতেও ‘নো মাস্ক, নো সেলে’ জোর দেওয়া হয়েছে। চলছে জীবাণুমুক্তকরণও। এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রয়েছে রাজপুর-সোনারপুর বাজার। শনি-রবিবার ছাড় দিলেও ফের সোম এবং মঙ্গলবার বাজার বন্ধ রাখা হবে বলে খবর। সংক্রমণ ঠেকাতেই এই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
কামারহাটি পুরসভা ৩৫টি ওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও একইরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভার তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা বলা হয়, ১ থেকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ কামারহাটি, দক্ষিণেশ্বর, আড়িয়াদহের মতো এলাকাগুলিতে সপ্তাহে তিনদিন ( সোম. বুধ এবং শুক্রবার) সমস্ত ধরনের বাজার, পাড়ার দোকান বন্ধ রাখা হবে। বাকি তিনদিন অর্থাৎ (মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনিবার) ১৬-৩৫ নং ওয়ার্ড বাজার-দোকান বন্ধ থাকবে। ১০ জানুয়ারি থেকে কার্যকরী হবে নয়া নিয়ম।