বিজেপি যেমন নিজেদের ইশতেহারের নাম দিয়েছে 'সোনার বাংলা সঙ্কল্পপত্র', তেমনি কংগ্রেস নিজেদের ইশতেহারের নাম রেখেছে, 'বাংলার দিশা'। সেই ইশতেহার প্রকাশ করে অবশ্য অধীর চৌধুরী দাবি করেন, '২০২১ সালে যা প্রতিযোগিতা, তা আমি ২০১৬-তে দেখিনি। দলের টিকিট পেতে এবার যেমন চাহিদা, তা অকল্পনীয়।' অধীরের দাবি, 'প্রার্থী হওয়ার চাহিদা দেখেই বোঝা যাচ্ছে কংগ্রেসের ভবিষ্যত্ বাংলায় উজ্জ্বল। যাঁরা বাংলায় পরিবর্তন চাইছেন, তাঁরা সকলেই সংযুক্ত মোর্চাকে ভোট দেবেন।'
advertisement
দলের রাজ্যে সদর দফতরে ইশতেহার প্রকাশ করে অধীর বলেন, 'কংগ্রেসকে নিয়ে কিছু বলার থাকলে আমাদের পোর্টালে সবকিছু বলুন। হাত বাড়ান, বাংলা বাঁচান, আমরাই বিকল্প, আমরাই ভবিষ্যত।' অধীরের স্লোগান, 'আর কোনও ভুল নয়, একই বৃন্তে দুটি ফুল, বিজেপি আর তৃণমূল।'
অপরদিকে, কংগ্রেসের জোট শরিক বামেদের চিটফান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি ইশতেহারে উঠে এসেছে বিপুল কর্মসংস্থানের আশ্বাসও। ইশতেহারে লেখা হয়েছে, "বেআইনি চিটফান্ডগুলির দাপট আইন ও প্রশাসনের সমস্ত শক্তি দিয়ে ঢুকতে হবে বেআইনি অর্থ লুঠকারী চিটফান্ডের কর্মকর্তা ও তাদের সহযোগীদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। জনগণের গচ্ছিত টাকা তাদের হাতে ফেরত দেওয়া সর্বাত্মক প্রয়াস গ্রহণ করা হবে।' একইসঙ্গে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা রয়েছে বামেদের ইশতেহারে। শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়মিত এবং স্বচ্ছভাবে করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বামেদের তরফে। এবার তারই সঙ্গে সংযোজিত হল কংগ্রেসের ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি।