আরও পড়ুন: 'এত বড় দুর্যোগ আসেনি জীবনে', সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তিনিই জানান, সকাল নটার সময় সুব্রত মুখোপাধ্যায় দেহ নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্র সদনে। দুপুর দুটো পর্যন্ত তাঁর দেহ থাকবে রবীন্দ্র সদনে। তারপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার বাড়িতে ও ক্লাবে। কিন্তু মমতা বলেন, ''সুব্রত দা-র মরদেহ আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। যাঁদের আমি খুব ভালোবাসি, তাঁদের দেহ আমি দেখতে পারি না। এই সেদিনও দেখা হল, হাসল। বলল আবার জেলায় জেলায় যাব। কিন্তু কী যে হল। বিরাট হার্ট অ্যাটাক হল। ডাক্তাররা চেষ্টা করেছিলেন অনেক। দার্জিলিংয়েও এমন হয়েছিল একবার, অনেক কষ্ট করে আমরা ফিরিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু এবার আর হল না।''
advertisement
আরও পড়ুন: প্রয়াত রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়
রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও বলেন, ''সুব্রতদার মৃত্যুতে আমরা সকলেই মর্মাহত। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বেস বলেন, ''সত্যিই অপূরণীয় ক্ষতি।''বাংলার রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বলা যেতে পারে, শেষ হল এক অধ্যায়। ষাটের দশকে কংগ্রেসী ঘরানার রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর। শুরু করেছিলেন ছাত্ররাজনীতি দিয়েই। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির সঙ্গেই উত্থান তার। ১৯৭২-১৯৭৭ তথ্য সংস্কৃতি দফতরের এর মন্ত্রী ছিলেন। ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের সঙ্গে। কলকাতার ৩৬ তম মেয়র তিনি। ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল মেয়র পদে বহাল ছিলেন তিনি।