৬ বিধায়ককে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলা সভাপতির পদে আনা হয়েছে পনেরো জন নতুন মুখও। এত কিছুর পরেও পদ্মকে চিন্তায় রাখছে তাঁদের সাংগঠনিক দুর্বলতা। উদ্বেগ বাড়িয়েছে গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের ফলাফলের তুলনায় এবারের পঞ্চায়েতের রেজাল্ট। এবার পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি শূন্য জেলা পরিষদ ১৩,উত্তরবঙ্গে ৪ এবং দক্ষিণবঙ্গে ৯ ৷
advertisement
আরও পড়ুন– সিদ্ধান্ত বদল ! অবসর ভেঙে ফের ক্রিকেটে ফিরছেন মনোজ তিওয়ারি
এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সাংগঠনিক জেলাগুলির সঙ্গে ধাপে ধাপে বৈঠক শুরু করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব। সোমবার যেমন বৈঠক হয় কলকাতা কেন্দ্রিক ৪ সাংগঠনিক জেলার সঙ্গে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল বৈঠকের নেতৃত্ব দেন। বিজেপি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, লোকসভা আসন ভিত্তিক ইস্যুতে প্রচার করতে হবে। পথে নেমে প্রচারে জোর দিতে হবে।
ভোটার তালিকা ধরে অ্যাক্টিভ ভোটারদের চিহ্নিত করতে হবে। অ্যাক্টিভ ভোটারদের চিহ্নিত করে তাঁদের কাছে পৌঁছতে হবে। কোনও রকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না। পুরনো ও নিষ্ক্রিয় কর্মী-সমর্থক-নেতাদের সক্রিয় করতে হবে। মহিলা ভোটারদের দলে অন্তর্ভুক্তিতে জোর দিতে হবে। দলের সব মোর্চার নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। দিল্লির মসনদ দখলের লড়াই। এই প্রেক্ষাপটে পশ্চিমবঙ্গকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। মূলত শাসকদল ও সরকারের একাধিক বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই আবহকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে বঙ্গে নিজেদের সংগঠনে প্রভাব বাড়াতে চাইছে রাজ্য বিজেপি। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলায় নিজেদের রাজনৈতিক জমি কতটা মজবুত করতে পারে বঙ্গ পদ্ম শিবির, তার উত্তর দেবে সময়ই।