আরও পড়ুন-শাহী সমাবেশকে সামনে রেখে মমতা ও অনুব্রত ভূমে আজ শুভেন্দু-সুকান্তর মিছিল-সভা
বছর ঘুরলেই চব্বিশে দিল্লির মসনদ দখলের লড়াই। তার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উপস্থিতিতে কলকাতার মেগা রাজনৈতিক কর্মসূচি উপলক্ষ্যে জেলায় জেলায় নানাভাবে প্রচার ও সভা তো চলছেই। এবার ড্রপ বক্স ভাবনা বঙ্গ বিজেপির। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বুধবার আমাদের ধর্মতলার সভা মঞ্চের আশপাশে বেশ কিছু ড্রপ বক্স রাখা হবে। আমরা তৃণমূল সিপিআইএম, নওশাদ সিদ্দিকীর দল আইএসএফ-সহ বাংলার সব স্তরের রাজনৈতিক কর্মী সমর্থক ও আম জনতার কাছে আবেদন করছি যে, সমস্ত রাজনৈতিক দলের সমর্থক হওয়া বঞ্চিত মানুষজন সেদিন ধর্মতলা এসে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কোন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত, তা বিস্তারিত উল্লেখ করে ওই ড্রপ বক্সে তাদের অভিযোগ জমা দিন। কেন না আমরা চাই রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তিক এলাকার মানুষজন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ থেকে যেন বঞ্চিত না হন।’’
advertisement
আরও পড়ুন– আজ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে নিম্নচাপ, বুধবার থেকে হাওয়া বদল ! জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট
বঙ্গ পদ্ম শিবির বারবারই বলে, ‘‘তৃণমূল ঘনিষ্ঠ কিংবা কাটমানির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যোগ্যদের বাদ দিয়ে অযোগ্য উপভোক্তাদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা- মন্ত্রীরা।’’ এক কথায় কেন্দ্রের কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছে বলেও অভিযোগে সুর চড়ায় গেরুয়া ব্রিগেড। আর এবার লোকসভা ভোটের আগে বাংলার ‘বঞ্চিত’দের হাতিয়ার করে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘কলকাতা চলো’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে ২৯ নভেম্বর ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে শাহী সমাবেশের মাধ্যমে আসলে বঙ্গ পদ্ম শিবির বাংলার প্রান্তিক মানুষের মন পেতে চাইছে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।