কটূকথা তরজায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মুকে লক্ষ্য করে মন্ত্রীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে মন্ত্রীকে অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবি করেছে বিজেপি। ঘটনার ৩ দিন পর, অখিলের কৃতকর্মের দায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চাইলেও, শুভেন্দু ও বিজেপি তাদের দাবিতে অনঢ।অধিবেশনের প্রথম দিনেই এই ইস্যুতে বিধানসভায় ধুন্দুমার করার পরিকল্পনা করছেন শুভেন্দু। এদিকে,বিরোধীদলের এই পরিকল্পনায় সুষ্ঠভাবে সভা পরিচালনা করা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে চিন্তিত স্পিকার।
advertisement
বিধানসভার অধিবেশনের ডে ওয়ান থেকে গোলমালের এই আশঙ্কা থেকেই আজ বিধানসভার বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকের পর অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায় বলেন, "মন্ত্রী হোক আর বিরোধীনেতা হোক, কটূকথা বলা ঠিক নয়। জন প্রতিনিধিদের ভাষা সংযম থাকা উচিত। এ ক্ষেত্রে কেউ রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কিছু বললে, তার অপরাধ বেশি আর কেউ রাজ্যের মহিলা মন্ত্রীকে কটাক্ষ করে খারাপ কিছু বললে সেটা লঘু দোষ৷ এমন ভাবার কোন কারণ নেই।"
মন্ত্রীর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে হৈ চৈ ফেলে দেবার পর, প্রথমে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেছিল তৃণমূল। কিন্তু এরপরেই, মুখ্যমন্ত্রী বীরবাহার প্রতি শুভেন্দুর মন্তব্যকে সামনে আনেন তারা। শুধু রাজনৈতিক চাপান উতোরেই বিষয়টি থেমে না থাকে দুপক্ষই এখন আদালত পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছেন। অখিলের শাস্তির দাবিতে যেমন মামলা ঠুকেছে বিজেপি। তেমনি আজই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ করেছেন বীরবাহা। এরপরেই, বুধবার সন্ধ্যায় শুভেন্দু বলেন, তিনি বীরবাহার পদবিও বলেননি, তাকে তিনি মন্ত্রীও বলেননি। নাম না করে ভাল করে ভিডিওটি আবার দেখার জন্য অভিযোগকারিদের চ্যালেঞ্জ জানান শুভেন্দু। শুভেন্দু আরও বলেন, ঘটনার ১০ মাস পরে কাদের মদতে, কেন মন্ত্রী এসব কথা বলছেন তা তিনি জানেন।
তৃণমূলের দাবি, গত ৭ জানুয়ারি নেতাই যাওয়ার পথে বাধা পেয়ে শুভেন্দু বীরবাহার প্রতি এই অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। এখন, বেকায়দায় পড়ে তিনি তা অস্বীকার করতে চাইছেন। সূত্রের খবর, অধিবেশনে বিজেপি অখিল গিরিকে নিশানা করলে, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বীরবাহাকে হাতিয়ার করবে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন অধিবেশনে শাসক - বিরোধী এই তরজার জেরে বিধানসভার অধিবেশন যে উত্তপ্ত হতে চলেছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।