সাধারণত সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ করত শুধুমাত্র স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিকে। কিন্তু এ বার প্রত্যেক পরীক্ষা কেন্দ্রকেই সিসিটিভি নিরাপত্তায় কার্যত মুড়ে ফেলছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কার্যত প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা নিয়ে আপস করতে রাজি নয় পর্ষদ। তার জন্যই এই নির্দেশিকা বলেই পর্ষদের দাবি। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন "প্রত্যেক স্কুলের ন্যূনতম তিনটি করে সিসিটিভি বসানোর কথা আমরা বলেছি। যাতে কোনও ঘটনা ঘটলে আমাদের কাছে তার উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ থাকে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
advertisement
আরও পড়ুন : শিক্ষিকাকে গুলি করল ছ' বছরের ছাত্র, আমেরিকার স্কুলে আতঙ্ক! ছক কষেই হামলা, দাবি পুলিশের
অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডি এল এড এর প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরুর আগেই সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হওয়ার অভিযোগ,বিভিন্ন সময় মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র সোশ্যাল সাইটে দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ-এসব মাথায় রেখে প্রশ্ন পত্র নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল পর্ষদ। কোনও পরীক্ষার্থী নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে পরীক্ষা শেষ করে দিলেও প্রশ্নপত্র নিয়ে বাড়ি যেতে পারবে না। তাকে অপেক্ষা করতে হবে পুরো পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত। অর্থাৎ পুরো পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে নিয়ে যেতে পারবে না।
এক্ষেত্রে যদি কোনও পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা আগে শেষ হয়ে যায় এবং সে যদি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে চায় তাহলে তাকে বেরনোর অনুমতি দেওয়া হবে। অবশ্য বেরোনোর অনুমতি দেওয়া হলেও প্রশ্নপত্র পরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থেকে সংগ্রহ করতে হবে ওই পরীক্ষার্থীকে। এই মর্মে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা পাঠাচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে চলতি বছরের মাধ্যমিক শুরু হওয়ার কথা। পর্ষদের অনুমান এ বার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে। সাম্প্রতিক সময় প্রশ্নপত্র নিয়ে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনার জেনেই পর্ষদের তরফে এ বার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : স্বাচ্ছন্দ্য়ের মধ্য়েও ছোট বড় অসুবিধা, প্রথম ৬ দিনে বন্দে ভারত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া যাত্রীদের
যদিও এ বিষয়ে বলতে গিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন "অনেক সময়ই দেখা যায় প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে সোশ্যাল সাইটে দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। আমরা এই অপপ্রচারকে আটকাতে চাইছি। তার জন্যই আমাদের তরফে এই সিদ্ধান্ত।"