যশোর রোড থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের দুই প্রান্তেই এমন ছবি নিয়মিত দেখা যায় বলে অভিযোগ৷ এবার এই কায়দায় লরি থেকে তোলাবাজি করতে গিয়েই বিপাকে পড়লেন বরানগর থানার এসআই এবং একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার৷ অভিযোগ পুলকেশ পাত্র নামে বরানগর থানার ওই এসআই-এর নির্দেশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মালবাহী গাড়ির থেকে টাকা তুলছিলেন ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার৷
advertisement
সম্প্রতি এই দৃশ্য দেখে গাড়ি থামিয়ে পুলিশের এই তোলাবাজির প্রতিবাদ করেন এক মহিলা৷ পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে কার্যত ওই মহিলার হাতেপায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে দেখা যায় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে৷ ভুল স্বীকার করে কান ধরেও ওঠবোস করতে দেখা যায় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে৷ এমন কি, গাড়িতে বসে থাকা ওই পুলিশের এসআই-ও শেষ পর্যন্ত মহিলার হুমকির জেরে বাইরে বেরিয়ে আসেন৷ প্রথমে গোটা ঘটনার দায় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের উপরে চাপানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত প্রকাশ্যেই নিজের ভুল স্বীকার করে নেন ওই পুলিশ আধিকারিকও৷
এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট৷ যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ ১৮ বাংলা৷ সূত্রের খবর, অভিযোগের সত্যতা মেলায় ওই পুলকেশ পাত্র নামে বরানগর থানার ওই এসআই-কে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে৷ যদিও ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুলিশকর্তারা৷
কিন্তু পথচলতি একজন মহিলার সামনে কেন নতিস্বীকার করলেন পুলিশ অফিসার ও সিভিক ভলেন্টিয়ার? মহিলার পরিচয় এখনও জানা না গেলেও ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ওই মহিলাকে রাজ্যের একজন আইপিএস অফিসারের নাম নিতে শোনা গিয়েছে৷ বরানগর থানার অফিসার ইন চার্জের নামও বলতে শোনা যায় তাঁকে৷ সম্ভবত ওই মহিলার সঙ্গে পুলিশের উপরমহলের যোগাযোগের আভাস পেয়েই চাপে পড়ে যান ওই এসআই এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার৷ কিন্তু এই ঘটনার পরেও এক শ্রেণির পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়ারের পথচলতি যানবাহন থেকে টাকা তোলার প্রবণতা বন্ধ হবে, তার গ্যারান্টি কোথায়?