প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, “আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে পড়লাম। ওঁর জন্য একজন প্যানেলভুক্ত আইনজীবী সওয়াল করেন। তাকে আমরা পরামর্শ দিই, আপনার মক্কেলকে ছুটিতে পাঠান। অথচ এই মামলাটিতে রাজ্যের আইনজীবী কেউ নেই? রাজ্যের আইনজীবী নোটিস দেওয়ার দায়িত্বটুকু নেবেন’। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর সব মামলাগুলির সঙ্গে এই মামলাটি শোনা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘স্কুলের তরফে আন্দোলন করতেই পারেন, কিন্তু স্কুল চলাকালীন নয়’, মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
প্রসঙ্গত, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন এক আইনজীবী। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবী অমৃতা পান্ডে।
ওই আইনজীবীর বক্তব্য, আরজি কর কাণ্ডের মৃতার নাম প্রকাশ্যে বলেছেন পুলিশ কমিশনার। তাই তাঁকে পদ থেকে সরানো হোক। প্রধান বিচারপতি জানান, ”এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। সেখানে গিয়ে আপনারা বলুন। সংবাদমাধ্যমে দেখলাম কেন্দ্রীয় সরকার মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করবে। সেখানে কী হয় দেখা যাক, তার পরেই আদালত বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করবে।”
এদিকে, যাঁর পদত্যাগ দাবি, তাঁর কাছেই সেই দাবিতে মঙ্গলবার স্মারকলিপি তুলে দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ কলকাতা পুলিশের কোনও নগরপালের অতীতে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে কি না, তা বলা কঠিন৷ কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের থেকে নিজের পদত্যাগের দাবিতে লেখা স্মারকলিপি গ্রহণ করে অবশ্য বিনীত গোয়েল জানিয়ে দিলেন, আরজি কর কাণ্ডে তাঁর নিজের ভূমিকায় তিনি সন্তুষ্ট৷ একই সঙ্গে অবশ্য কলকাতার পুলিশ কমিশনার আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন তাঁর ভূমিকা সন্তোষজনক নয়, তাহলে তিনি সরে যেতে রাজি৷