বন্দেভারত এক্সপ্রেস চালানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে ১০ জন মোটরম্যানকে পাঠানো হয়েছিল গাজিয়াবাদে৷ তাঁরা প্রশিক্ষণ শেষে এসে পৌঁছে গিয়েছেন হাওড়ায়। ট্রেনটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্য়াক্টরিতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন হাওড়ার ২৫ জন ট্রেন এক্সামিনার। সেমি হাই স্পিড জাতীয় এই ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা শেডও তৈরি করেছে পূর্ব রেল।
আরও পড়ুন: এবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে উত্তরবঙ্গ! জেনে নিন টাইম টেবিল
advertisement
হাওড়া ঝিল সাইডিংয়ে সম্পূর্ণ ঘেরাটোপের মধ্যে এই প্রথম উন্নতমানের ডিপো তৈরি করা হয়েছে ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। হাওড়ার ডিআরএম মনীশ জৈন বলেন, 'অন্য সব ট্রেন যে কারশেডে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, তার কিছু অংশ শেড দিয়ে ঘেরা, কিছু অংশ খোলা আকাশের নীচে হয়। কিন্তু বন্দে ভারত রক্ষণাবেক্ষণের ডিপোটি পুরোপুরি শেডের মধ্যে। সব মরশুমে যাতে সমান ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।'
রক্ষণবেক্ষণের সুবিধায় তিনটি স্তরে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে ডিপোতে। ট্রেনের একেবারে নীচের অংশ, মাঝে কোচের যেখানে যাত্রী থাকে আর ছাদে এক সঙ্গে যাতে তিন জায়গায় রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা যায় তাই এই তিনটি ধাপের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। সাধারণ ট্রেনগুলির কোচ ও ইঞ্জিন আলাদা। তাই আলাদা আলাদাভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় ওই ট্রেনগুলিকে। কিন্তু এই বন্দে ভারতে কোচের সঙ্গেই লোকোমোটিভ। একেবারে লোকাল ট্রেনের ধাঁচে। তাই লোকোমোটিভ ও কোচ এক সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
আরও পড়ুন: দেশের দ্রুততম ট্রেন এবার ছুটবে হাওড়া স্টেশন থেকে, শিলিগুড়ি যেতে লাগবে মাত্র 'এইটুকু' সময়
এই যৌথ কাজের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা গ্যাং তৈরি করা হয়েছে হাওড়া ডিভিশনে। যাঁদের সম্প্রতি প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে চেন্নাইয়ের আইসিএফ-এ।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে হাওড়া এবং এনজেপি-র মধ্য়ে ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তবে বন্দে ভারতের ভাড়া কত হবে তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে ভাড়া শতাব্দীর তুলনায় বেশি হতে চলেছে।