বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ১৬টি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার কোচ রয়েছে। যেখানে আবার দুই ধরনের বসার বিভাগ আছে। প্লেনের মতো অনেকটা।একটি হল ইকোনমি এবং আরেকটি এক্সিকিউটিভ ক্লাস। তবে খাবারের জন্য আলাদা টাকা দিতে হবে না বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে উঠলে। বরং টিকিটের সঙ্গেই ধারা থাকবে খাবারের দাম। সিটে বসেই মিলবে চা-জলখাবার থেকে দুপুর এবং রাতের খাবার। আমিষ না নিরামিষ, তা যদিও যাত্রীকে জানিয়ে দিতে হবে আগে। টিকিট কাটার সময়ই সাধারণত আমিষ এবং নিরামিষ খাবারের মধ্যে বেছে নেওয়ার উপায় থাকে।বন্দে ভারতে একসঙ্গে সফর করতে পারবেন ১ হাজার ১২৮ জন যাত্রী। বসার ব্যবস্থা দু'রকম।
advertisement
আরও পড়ুন - Happy New Year 2023: নতুন বছরের প্রথমদিনে মেট্রো সার্ভিসে বড় রদবদল, সকাল থেকেই ভিড় মেট্রো স্টেশনে
বন্দেভারত এক্সপ্রেসের মেনুতে বাঙালিয়ানার ছোঁওয়া রাখতে চায় রেল। লুচি, আলুরদম, ছানার ডালনা, নলেন গুড়ের সন্দেশ, ক্ষীরকদম্ব।দুপুর ও রাতের খাবারে বাসন্তী পোলাও, সোনা মুগের ডাল, মাছের ঝোল, চিকেন কষা।এ ছাড়াও মেনুতে থাকছে বাজরার রুটি, ভুট্টার রুটির ব্যবস্থা।কেক, ডিমসেদ্ধও থাকছে। মিলবে দই, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংকস।এক্সিকিউটিভ ক্লাসে থাকছে স্পেশাল ভেটকি ফ্রাই৷ এদিন অবশ্য দুই শ্রেণীতেই ফিস ফ্রাই ও ফিস ফিঙ্গার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া চিকেন কষা, পনীর কষার মতো ফুড আইটেমও থাকছে। এছাড়া ভাত,রুটি তো আছেই।
হাওড়া এবং নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে যাতায়াত করতে গিয়ে যাত্রীরা পাবেন ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার, স্ন্যাক্স। এছাড়া চা, জলের ব্যবস্থাও থাকছে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাংলায় চালু হতে চলা, ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনের খাবারে বাঙালিয়ানা বজায় রাখার।ইতিমধ্যেই তাই লুচি-আলুরদম, লুচি-ছানার ডালনার সঙ্গে সন্দেশ ও ফিশ ফ্রাইয়ের ব্যবস্থার কথা জানিয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়ে গিয়েছে ভারতীয় রেল বোর্ডের কাছে। এই খাবার বা অন বোর্ড ক্যাটারিং ব্যবস্থা সামলাবে আইআরসিটিসি নিজেই।যারা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে অন বোর্ড ক্যাটারিংয়ের দায়িত্ব সামলাবেন তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে যদি আপনি কোথাও যাত্রা সফর করেন, তবে আপনার ট্রেনের টিকিটের মূল্যের সঙ্গেই খাবারের দাম ধরা থাকবে। এবং আপনি আপনার সময় মতো আপনার চেয়ারে বসেই খাবার পেয়ে যাবেন।কেউ যদি হাওড়া থেকে এনজেপি সফর করেন, তবে তাঁকে ট্রেনে ব্রেকফাস্ট এবং দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হবে।আবার যদি কেউ এনজেপি থেকে হাওড়া আসেন তবে ট্রেনে চা-জলখাবার এবং রাতের খাবার পরিবেশন করা হবে।
ABIR GHOSHAL