প্রথম দিনের বাণিজ্যিক যাত্রাতেই অভিযোগ উঠতে শুরু করে বন্দেভারতের খাবার নিয়ে৷ এমনকী অনেকেই খাবার না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন৷ খাবার পরিবেশনে যে রীতিমতো সমস্যা তৈরি হয়েছিল তা স্বীকার করে নিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা৷ তবে ফিস ফ্রাইয়ের ছবি দিয়ে যে ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা চলছে তা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্নের মুখে ক্যাটারিং সংস্থা। যদিও ক্যাটারিং সংস্থার দাবি, প্রতিদিন হাজারের বেশি যাত্রী যাতায়াত করছেন। একটা বা দুটো ঘটনা ব্যতিক্রমী৷ তবে সকলের খাবারের প্রতিই নজর দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের।
advertisement
বছরের প্রথম দিনেই যাত্রী নিয়ে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি দৌড়য় বন্দেভারত এক্সপ্রেস। বছরের প্রথম দিনেই প্রিমিয়াম ট্রেনের খাবার নিয়ে ভীষণ রকম আগ্রহ তৈরি হয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। তবে C6 ও C7 কোচে খাবার পরিবেশন নিয়ে সামান্য অভিযোগ এসেছিল। রেল যদিও এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ১৬টি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার কোচ রয়েছে। যেখানে আবার দুই ধরনের বসার বিভাগ আছে। প্লেনের মতো অনেকটা। একটি হল ইকোনমি এবং আরেকটি এক্সিকিউটিভ ক্লাস। তবে খাবারের জন্য আলাদা টাকা দিতে হবে না বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে উঠলে। বরং টিকিটের সঙ্গেই ধারা থাকবে খাবারের দাম। সিটে বসেই মিলবে চা-জলখাবার থেকে দুপুর এবং রাতের খাবার। আমিষ না নিরামিষ, তা যদিও যাত্রীকে জানিয়ে দিতে হবে আগে। টিকিট কাটার সময়ই সাধারণত আমিষ এবং নিরামিষ খাবারের মধ্যে বেছে নেওয়ার উপায় থাকে।বন্দে ভারতে একসঙ্গে সফর করতে পারবেন ১ হাজার ১২৮ জন যাত্রী। বসার ব্যবস্থা দু'রকম।
আরও পড়ুন: মরশুমের শীতলতম দিন আজ, কলকাতায় তাপমাত্রার বড় পতন! শীতের কাঁপন জেলায় জেলায়
বন্দেভারত এক্সপ্রেসের মেনুতে বাঙালিয়ানার ছোঁওয়া রাখতে চায় রেল। লুচি, আলুরদম, ছানার ডালনা, নলেন গুড়ের সন্দেশ, ক্ষীরকদম্ব।দুপুর ও রাতের খাবারে বাসন্তী পোলাও, সোনা মুগের ডাল, মাছের ঝোল, চিকেন কষা।এ ছাড়াও মেনুতে থাকছে বাজরার রুটি, ভুট্টার রুটির ব্যবস্থা।কেক, ডিমসেদ্ধও থাকছে। মিলবে দই, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংকস।এক্সিকিউটিভ ক্লাসে থাকছে স্পেশাল ভেটকি ফ্রাই৷ এদিন অবশ্য দুই শ্রেণীতেই ফিস ফ্রাই ও ফিস ফিঙ্গার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া চিকেন কষা, পনীর কষার মতো ফুড আইটেমও থাকছে। এছাড়া ভাত,রুটি তো আছেই।হাওড়া এবং নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে যাতায়াত করতে গিয়ে যাত্রীরা পাবেন ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার, স্ন্যাক্স। এছাড়া চা, জলের ব্যবস্থাও থাকছে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাংলায় চালু হতে চলা, ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনের খাবারে বাঙালিয়ানা বজায় রাখার। ইতিমধ্যেই তাই লুচি-আলুরদম, লুচি-ছানার ডালনার সঙ্গে সন্দেশ ও ফিশ ফ্রাইয়ের ব্যবস্থার কথা জানিয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়ে গিয়েছে ভারতীয় রেল বোর্ডের কাছে। এই খাবার বা অন বোর্ড ক্যাটারিং ব্যবস্থা সামলাবে আইআরসিটিসি নিজেই।যারা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে অন বোর্ড ক্যাটারিংয়ের দায়িত্ব সামলাবেন তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে যদি আপনি কোথাও যাত্রা সফর করেন, তবে আপনার ট্রেনের টিকিটের মূল্যের সঙ্গেই খাবারের দাম ধরা থাকবে। এবং আপনি আপনার সময় মতো আপনার চেয়ারে বসেই খাবার পেয়ে যাবেন।কেউ যদি হাওড়া থেকে এনজেপি সফর করেন, তবে তাঁকে ট্রেনে ব্রেকফাস্ট এবং দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হবে।আবার যদি কেউ এনজেপি থেকে হাওড়া আসেন তবে ট্রেনে চা-জলখাবার এবং রাতের খাবার পরিবেশন করা হবে।