বৃহস্পতিবার তারাতলা এলাকার নেচার পার্কের কাছ থেকে অসম নম্বর প্লেটের একটি সন্দেহজনক গাড়ি আটক করা হয়। গাড়ি পরীক্ষার সময়েই মেলে প্রায় আড়াই কোটি টাকার এই মাদক। গোয়েন্দাদের কাছে গোপনসূত্রে খবর ছিল, ভিনরাজ্যের নম্বরপ্লেট লাগানো গাড়িতে মাদক আনা হচ্ছে। সেই সূত্রে এই গাড়িটিকে আটক করে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতেই এই চক্রের পর্দাফাঁস হয়।
advertisement
এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে দুজন মনিপুরী নাগরিক। তৃতীয় অভিযুক্ত মালদহের বাসিন্দা। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, এরা আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত। মায়ানমার থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট এনে অসম থেকে উত্তরবঙ্গ-মালদহ হয়ে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল। কলকাতা থেকে ভিনরাজ্য এবং বাংলাদেশেও এই মাদক পাচারের ছক ছিল এই চক্রের।
অভিনব কায়দায় গাড়ির দরজার ফাঁকে এই মাদকের প্যাকেট ভরে নিয়ে নিয়ে আসছিল চক্রীরা। তবে পুলিশ বা কোনও গোয়েন্দা সংস্থা যাতে তাদের গতিবিধি বুঝতে না পারে সেইজন্য মাঝপথে গাড়ি বদল করা হত। এক্ষেত্রে মায়ানমার থেকে মাদক অসম পর্যন্ত এনে গাড়ি বদল করা হয়েছিল।
এসটিএফের এক কর্তা বলেন, "এই চক্রটি একই রুট ব্যবহার করে মাদক পাচার করছিল। কারা কারা এই চক্রে জড়িত তা আমরা তদন্ত করে বের করব।"
সূত্রের খবর, ভিনরাজ্য ছাড়াও বাংলাদেশে এই ইয়াবা ট্যাবলেটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই মায়ানমার থেকে এই মাদক এনে কলকাতাকে ব্যবহার করে বহুবার পাচার হয়েছে। অতীতে এরকম চক্র একাধিকবার গ্রেফতার হলেও কেন বন্ধ হচ্ছে না মাদক পাচার তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, "বারবার এই চক্রের পাণ্ডাদের গ্রেফতার করা হলেও এরা প্রত্যেকবার নতুন পদ্ধতিতে মাদক পাচার করে। আমরা সবসময় নজর রাখছি।"