অরল্যান্ডো আর শায়ানা'র প্রশিক্ষণ শেষ। রবিবার রাতেই ওই দু'জন এসে পৌঁছল কলকাতায়। নিযুক্ত হবে বন-পাহারা আর চোরা-শিকারী ধরার কাজে।
বন দফতর সূত্রে খবর, অরল্যান্ডো এবং শায়ানা ম্যালাকাইট প্রজাতির সারমেয়। বন দফতরের ডগ স্কোয়াডের নতুন অতিথি। এর মধ্যে অরল্যান্ডো পুরুষ এবং শায়ানা মহিলা। এরা বিভিন্ন অপরাধ দমনের কাজে প্রশিক্ষণ পেয়েছে। উত্তরপ্রদেশের চান্দৌলিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল এই দুই কুকুর। প্রশিক্ষণ শেষে এ দিন তারা এসেছে পশ্চিমবঙ্গে। কলকাতায় সল্টলেকের ডিয়ার পার্কে রবিবার রাতে এদের রাখা হয়েছিল। আজ, সোমবার ওদের কর্মস্থলে পাঠানো হয়েছে।
advertisement
বন দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, অরল্যান্ডো এবং শায়ানাকে কাজে লাগানো হবে সুন্দরবনে এবং উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চলে চোরাশিকারী ধরার জন্য। বন দফতরের এক কর্তা বলেন, "সুন্দরবনে বাঘ এবং উত্তরবঙ্গে গন্ডার এবং হাতির মধ্যে চোরাশিকারীদের রমরমা বাড়ছে। ওই সব চোরাশিকারীদের রমরমা কমাতেই ডগ স্কোয়াডের শক্তি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ডগ স্কোয়াডের ক্ষমতা বাড়িয়ে চোরা শিকার অনেকটাই বন্ধ করা সম্ভব হবে।"
চোরা শিকারী এবং বিভিন্ন অপরাধ দমনে ডগ স্কোয়াডের ব্যবহার বনরক্ষী বাহিনীর মধ্যে নতুন নয়। এর আগেও ডগ স্কোয়াড ছিল বন দফতরে। এই মুহূর্তে বন দফতরের হাতে চারটি কুকুর রয়েছে। এর মধ্যে করিম একমাত্র বেলজিয়াম মেলিনয় প্রজাতির। বাকি তিন জন, রানি, ইকনা আর লিম্পসি জার্মান শেপার্ড। বর্তমানে ইকনা রয়েছে সুন্দরবনে। বাকি তিন জনই আছে উত্তরবঙ্গে। রানি জলদাপাড়া, করিম বক্সা এবং লিম্পসি মহানন্দা অভয়ারণ্যে। তবে বন দফতরের ওই কর্তা বলেন, "এই সব কুকুরই বৃদ্ধ হয়েছে। আগের থেকে কর্মক্ষমতা অনেকটাই কমেছে। সে জন্য সারমেয় বাহিনীতে নতুন নিয়োগ প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল।" এই অবস্থায় অরল্যান্ডো ও শায়ানা আসায় শক্তি অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন বন দফতরের কর্তারা।
SHALINI DUTTA