হাসপাতাল সূত্রের খবর, ভিডিওয়োয় দেখতে পাওয়া গিয়েছে দুই ব্যক্তিকে৷ তাঁরা প্রত্যেকেই ইন্টার্ন চিকিৎসক। শনিবার রাত সাড়ে বারোটা থেকে ১ টা পর্যন্ত টানা আধ ঘণ্টা ধরে নাকি ট্রমা কেয়ার সেন্টারের বারান্দায় দাঁড়িয়ে মদ্যপান সহযোগে ধূমপান করেছেন ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা৷ তেমনটাই দাবি রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের! এছাড়া, ট্রমা কেয়ার সেন্টারে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরাও কেন ঘটনার কোনও প্রতিরোধ করলেন না, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
advertisement
আরও পড়ুন: বড় খবর! কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনের মাস্টারমাইন্ডের নাম ফাঁস, এবার..
হাসপাতালের তরফে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শান্তনু সেন জানিয়েছেন, আগামী ২৬ এপ্রিল বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে। যাঁরা এই নিন্দনীয় ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁরা উপযুক্ত শাস্তিও পাবেন বলে জানান তৃণমূল সংসদ তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শান্তনু সেন।
সম্প্রতি হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা রুখতে সর্বক্ষণ হাসপাতালের ক্যাম্পাসে দমকলের গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকারের দমকল বিভাগ। কিন্তু এই ভাবে হাসপাতালের এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যদি ইন্টার্ন চিকিৎসকেরাই ধূমপান করেন তা হলে রোগী নিরাপত্তা কিংবা স্বাভাবিক দায়িত্ববোধ সম্পর্কে আর কী-ই বা বলার থাকে৷ এভাবে ট্রমা কেয়ার সেন্টারের বাইরে ধূমপান করলে, তা থেকে যদি অগ্নি সংযোগের মতো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে তার দায়িত্ব কার উপরে বর্তাবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে!
কারণ, এই ট্রমা কেয়ার সেন্টারে একাধিক অক্সিজেন সরবরাহ পাইপলাইন থেকে শুরু করে নানা ধরনের ইলেকট্রিক লাইন থাকে। অসাবধানতা বসত আগুন লাগলে প্রাণ হারাতে পারেন বহু নিরপরাধ, অসহায় রোগী। তাই এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্ক হওয়া উচিত বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল।
ওঙ্কার সরকার