দুই প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ওই দুই ওয়ার্ডেই আর লড়তে পারবে না বিজেপি৷ কারণ ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন পেরিয়ে গিয়েছে৷
আরও পড়ুন: গা জোয়ারি করে ভোট নয়, দলীয় প্রার্থীদের কড়া বার্তা তৃণমূলের
বিজেপি-র অবশ্য অভিযোগ, তৃণমূলের হুমকির জেরেই আতঙ্কে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন দুই প্রার্থী৷ ১৩৩ এবং ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ড বন্দর এলাকার মধ্যে পড়ে৷ ফলে বিজেপি-র অভিযোগের তির পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অনুগামীদের দিকে৷ যদিও এ বিষয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷
advertisement
বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, 'বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করিয়ে দুই প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছে৷ এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি৷'
আরও পড়ুন: মমতা 'বাঘিনী', তবে কংগ্রেস ছাড়া বিরোধী জোট নয়! লিখল শিবসেনা মুখপত্র সামনা
যে দুই প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন, তাঁদের মধ্যে সদানন্দ প্রসাদের ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি৷ অন্য প্রার্থী মুমতাজ আলির দাদা ফোন ধরে জানান, মুমতাজ দলীয় কর্মীদের দিয়ে নিজের ফোন তাঁর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ তিনি কয়েকদিন পরে বাড়ি ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মুমতাজের দাদা৷
প্রসঙ্গত এ দিনই তৃণমূলের তরফে দলীয় প্রার্থীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পুরভোটে কোনও গা জোয়ারি চলবে না৷ উন্নয়নের খতিয়ান দেখিয়েই ভোট চাইতে হবে৷ ত্রিপুরার মতো এ রাজ্যে যাতে পুরভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে গা জোয়ারির অভিযোগ না ওঠে, সেটাই নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু দুই বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘটনায় অভিযোগের তির সেই শাসক দলের দিকেই৷
Sourajyoti Banerjee