আরও পড়ুনঃ প্রতিবন্ধী নন, অথচ শতাধিক মানুষ পাচ্ছেন প্রতিবন্ধী ভাতা! কিন্তু কীভাবে? শুনলে আকাশ থেকে পড়বেন!
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে যক্ষ্মা রোগীদের জন্য নতুন ‘ড্রাগ রেজিমেন’ শুরু হল। এটি এমন একটি পদ্ধতি যা যক্ষ্মা রোগ নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা নেবে। বক্ষ বিভাগের প্রধান শান্তনু ঘোষ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, যক্ষ্মারোগীদের জন্য এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স পদ্ধতি। এই নতুন রেজিমেন ব্যবহার করলে রোগীদের ওষুধ খাওয়ার সময়কাল অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
advertisement
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, যদি কাউকে টানা দু’বছর ওষুধ খাওয়ানোর কথা থাকে, নতুন ‘ড্রাগ রেজিমেন’ ব্যবহার করলে সেই সময়কাল কমিয়ে ছ’মাসে আনা সম্ভব হবে। পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নতুন রেজিমেন-এ অনেক কম। অনেকে মাঝপথে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। তাতে রোগ আরও জটিল আকার ধারণ করে। ওষুধ খাওয়ার সময়কাল কমে গেলে অনেকেই ওষুধের কোর্স কমপ্লিট করতে পারবেন। তাতে যক্ষ্মা নির্মূল করার কাজ অনেক সহজ হবে।
শুক্রবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বক্ষ বিভাগে এই প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম, বর্ধমান মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমি বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য আধিকারিক ও চিকিৎসকরা। এ দিন দু’জন যক্ষ্মা রোগীকে ‘ড্রাগ রেজিমেন’ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, দিন দিন যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা বেড়েই চলৃছে। গত বছর জেলায় যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা ছিল চার হাজারের বেশি। চলতি বছরে সেই সংখ্যা আরও ৮০০-৯০০ বেড়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। যদিও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, বছরভর যক্ষ্মা নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি চালানো হচ্ছে। মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসার উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে।