শুধু রতন নাথই নন, একই সঙ্গে দিল্লিতে এই সময়ে রয়েছেন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল। একই সময়ে দুই শিবিরের দুই নেতা কেন দিল্লিতে হাজির? রাজনৈতিক মহলের একটি ব্যাখ্যা, সুদীপ শিবিরের সঙ্গে মনোমালিন্য বিপ্লব দেবের ইমেজ খারাপই করছে। তাই এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বিজেপি একটি সমঝোতা সূত্র খুঁজতে পারে। দুই পক্ষেরই একজন করে প্রধান স্তম্ভকে সামনে রেখে।
advertisement
তাছাড়া কথা হতে পারে পশ্চিম ত্রিপুরাক সাংসদ প্রতিমা মন্ডলের মন্ত্রিসভায় যাওয়া নিয়ে। ত্রিপুরার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছে প্রতিমা বিপ্লব শিবিরের নেত্রী। তিনি অনেকদিন বিজেপির ত্রিপুরা সভাপতি পদের দাবিদার। বিধানসভায় হেরেও লোকসভায় তিনি টিকিট পান। আদিবাসী মন পেতে প্রতিমাকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হতে পারে বলে একটি মত। আবার যেহেতু বিপ্লব দেবকে নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ ক্রমাগত বাড়ছে, বি এল সন্তোষের কাছে কুড়ি জনের বেশি বিধায়ক অনাস্থা প্রকাশ করেছেন, সে ক্ষেত্রে বিপ্লবকে সরিয়ে অন্য কাউকে কি মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে রাতারাতি এই প্রশ্নও উঠছে। সেক্ষেত্রে একটি সূত্রের মত প্রতিমা মন্ডলের নাম প্রজেক্ট করতে পারেন রতন নাথ।
অন্য দিকে রাজনৈতিক মহলের অনুমান সুদীপ্ত ঘনিষ্ঠ রামপ্রসাদকে ডাকা হয়েছে ড্যামেজ কন্ট্রোল কন্ট্রোলএই। বিজেপি বিলক্ষণ জানে এই মুহূর্তে ড্যামেজ রুখতে না পারলে সিপিএম মাটি কেড়ে নেবে। সেই কারণেই কেন্দ্রের এই তৎপরতা।
২০২৩ ত্রিপুরা ভোট কেন্দ্রের পাখির চোখ। কেন্দ্রীয় বিজেপির তৎপরতাই সে কথা জানান দিচ্ছে। জানা যাচ্ছে জে পি নাড্ডা ১০ জুলাইয়ের পর প্রথম বারের জন্য ত্রিপুরা যাচ্ছেন। তার আগে ত্রিপুরার জল মাপতে তিনি দফায় দফায় রিপোর্ট নিয়েছেন বিএল সন্তোষ -সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে। নানা সময়ে দিল্লি গিয়েছেন দুই শিবিরেরই প্রতিনিধিরা। কাজেই পুরোদস্তুর হোমওয়ার্ক করেই যে নাড্ডা ত্রিপুরায় যাবেন তা বলাই বাহুল্য।