বুধবার সকালে ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। দলে রয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, যাদবপুরের সাংসদ তথা তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ, জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা এবং টিএমসিপি নেতা সুদীপ রাহা। এ ছাড়া, রয়েছেন সাংসদ ও রাজ্যসভার সদস্য সুস্মিতা দেব। ত্রিপুরা গিয়ে সেখানকার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলবে ছয় সদস্যের এই দল। এ ছাড়া, দলীয় কিছু কর্মসূচিও রয়েছে।
advertisement
বিমানবন্দরে ঢোকার আগে কুণাল বলেন, ” আগরতলায় আমাদের রাজ্যদফতর ভাঙচুর করা হয়েছে, তারই পরিপ্রেক্ষিতে দলের তরফে আমাদের পাঠানো হচ্ছে। নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়কের উপর যে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, তা তৃণমূল কংগ্রেস কখনও সমর্থন করে না। মানুষের ক্ষোভের প্রকাশ এইভাবে হতে পারে না। তবে বিজেপির উপর মানুষের ক্ষোভ কেন, তা বুঝতে হবে! বাংলা ভাষায় কথা বললে বাংলাদেশী বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি।”
কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ” ত্রিপুরায় আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা ভাল নয়। অতীতে সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা হয়েছে, আমাদের আটক করা হয়েছে। আমাদের উপর থানায় যেভাবে হামলা চালানো হয়েছিল, দক্ষিণে তা সিনেমায় দেখা যায়। আমরা ওখানে যাচ্ছি, বেঁচে ফিরতে নাও পারি। তবুও আমরা যাব।”
কুণাল ঘোষের কথায়, ” গতকাল থেকে সমাজমাধ্যমে আবার সেই হুমকি শুরু হয়েছে। এটা কোনও সুস্থ রাজনীতি নয়। ত্রিপুরার লোককেও বাংলায় আসতে হয়। বাংলার লোককেও ত্রিপুরায় যেতে হয়। আমরা ওখানে যাব সহযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলব। আরও কিছু কর্মসূচি দল দিয়েছে, তা পালন করব।”
বুধবার ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে সায়নী ঘোষ বলেন, ” অতীতে ত্রিপুরায় আমাদের অভিজ্ঞতা খুব খারাপ। দলের কর্মসূচিতে গিয়ে ত্রিপুরায় যে ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল, তাতেই বোঝা যায় সেখানকার আইনি ব্যবস্থার কী হাল! আমাদের দলীয় কর্মী যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যাব। আমরা পিঠ বাঁচিয়ে চলি না। আমরা ওখানে যাব, তার পর কী হবে, আপনারা জানতে পারবেন, দেখতে পাবেন।”