২০০২ সালের ২০মে বাইপাসের পাশে তৃণমূল ভবন তৈরি হয়। দল তখন ছোট ছিল, ক্ষমতাও ছিল অতি সীমিত। এখন কলেবরে দল অনেক বড় হয়েছে। টানা তিনবার জয় প্রমাণ করে দিয়েছে দলের নীচুতলা কত শক্ত। তারউপর আবার দল চাইছে জাতীয় প্রেক্ষাপটে সম্প্রসারণ। কাজেই আর পাঁচটা জাতীয় দলের মতোই চাই ঝা চকচকে হেডকোয়ার্টার। সূত্রের খবর, এই দিক গুলি মাথায় রেখেই পুরনো ভবন সম্প্রসারণ হবে। স্থান সঙ্কুলানের জন্যে হবে ৪ তলা।
advertisement
যে ভাবে সাজানো হবে তৃণমূল ভবন
- থাকবে প্রতিটি শাখার জন্যে আলাদা ঘর।
- থাকবে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের জন্যে ঘর।
- জেলা থেকে আসা কর্মীদের জন্যে বসার ব্যবস্থা।
- থাকবে প্রেস কনফারেন্স রুম। ভারচুয়াল বৈঠকের ব্যবস্থা।
- এছাড়া দলীয় বৈঠকের জন্যে থাকবে হল ঘর ও কনফারেন্স রুম।
- বানানো হবে ক্যান্টিন যেখানে দলের কর্মীরা সুলভে খাবার পাবেন।
রাজনৈতিক মহলের মত, তৃণমূল ভবন এর এই সম্প্রসারণের পিছনে একটি কৌশলী রাজনৈতিক বার্তাও রয়েছে। তৃণমূল খাতায় কলমে বুঝিয়ে দিতে চাইছে দল বাড়ছে। বাড়ছে সংগঠন। জেলার কর্মীদের সাথে যোগাযোগ বাড়ানো হচ্ছে জেলার কর্মীরা এসে যাতে রাতে তৃণমূল ভবনেই থাকতে পারেন সেই জন্য চাই ব্যবস্থা। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সরকারের পাশাপাশি দলে মন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন সেই ২০১৯-এই। তার পর থেকেই সংগঠন নিয়ে গভীর ভাবে ভাবা হচ্ছে। এখন ভোটপর্ব মেটার পর আলাদা করে বেশ কয়েকটি সেল সক্রিয়ও হয়েছে। রাজ চক্রবর্তীর সায়নী ঘোষরা প্রতিনিয়ত তৃণমূল ভবনে আসছেন। প্রতিটি বিভাগ যাতে সমন্বয় রক্ষা করে খোলামেলা জায়গা থেকে কাজ করতে পারে, সেই কারণেই এই সম্প্রসারণের ব্যবস্থা। তাছাড়া প্রচারে ঝাঁঝ বাড়াতেও চাই দলের হেডকোয়ার্টার। বাইপাসের ধারে অবস্থিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও মসৃণ। সামনেই হচ্ছে মেট্রো স্টেশন। ফলে যোগাযোগ আরও সুবিধা হবে। সব দিক মাথায় রেখেই নতুন ঝাঁ চকচকে কর্পোরেট লুক দেওয়া হবে তৃণমূল ভবনকে।