জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে বাইপাসের ধারের তৃণমূল ভবন সংষ্কারের (Trinamool Bhavan Renovation) কাজ শুরু হয়ে যায়। একে একে ভবনের জিনিষপত্র সরানোর কাজ শেষ হয়েছে। বাইপাসে তৃণমূল ভবনের পাশেই এক বহুতল বাড়িতে আপাতত চলবে মেক শিফট তৃণমূল ভবন। সেখানেই শুরু হয়ে যাবে তৃণমূলের সাংগঠনিক কাজ। ইতিমধ্যেই একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভবন থেকে জিনিসপত্র নয়া বাড়িতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। আপাতত সেই বাড়িতে চলছে নয়া অস্থায়ী অফিস বানানোর কাজ।
advertisement
বাইপাসের ধারের বর্তমান ভবনটি তৈরি হয় ২০০২ সালে। সাংসদ ছিলেন তখন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। বাইপাসের ধারের এই ভবন নিয়ে অনেক স্মৃতি জোড়া ফুল শিবিরের নেতাদের। তবে দল বাড়ছে, সংগঠন মজবুত হচ্ছে, ফলে দরকার ছিল নয়া ভবনের। প্রসঙ্গত, মমতা বন্দোপাধ্যায় চলতি মাসে সাংগঠনিক বৈঠক করতে এসে ভবন সংষ্কারের কথা জানিয়েছিলেন। এমনকি সাংবাদিক সম্মেলনে বসার জায়গা অনেক কম সেটা নিয়েও জানিয়েছিলেন। খুব শীঘ্রই যে নয়া ভবন তৈরি হবে, সেই ইঙ্গিত মিলেছিল তার কথায়। অবশেষে সেই ভবন সংষ্কার বা নয়া ভবন বানানোর কাজ শুরু হতে চলেছে।
সূত্রের খবর, নয়া তৃণমূল ভবন হবে বহুতল বিশিষ্ট। থাকবে প্রতিটি শাখার জন্যে আলাদা আলাদা ঘর। থাকবে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের জন্যে আলাদা ঘর। জেলা থেকে আসা কর্মীদের জন্যে থাকছে বসার ঘর। থাকবে প্রেস কনফারেন্স রুম। এ ছাড়া ভারচুয়াল বৈঠকের ব্যবস্থাও করা হবে। এ ছাড়া দলীয় বৈঠকের জন্যে থাকবে হল ঘর ও কনফারেন্স রুম। রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৪ এর লক্ষ্যে এখন ঝাঁপাচ্ছে তারা। সংগঠন বিস্তার হচ্ছে দ্রুত গতিতে। এই অবস্থায় জেলার কর্মীদের সাথে যোগাযোগ বাড়ানো হচ্ছে। প্রচারে ঝাঁঝ বাড়াতেও চাই দলের হেডকোয়ার্টারের নয়া লুক। তাই দ্রুত সেই কাজ শুরু করা হচ্ছে।
দলীয় সূত্রে খবর, এখন যেখানে তৃণমূল ভবনটি আছে। তার সামনের দু'দিকের জায়গায় সম্প্রসারিত হবে ভবন। পুরনো ভবনের একাংশ ভেঙে ফেলা হবে। সব মিলিয়ে আগামী ১-১.৫ বছরের মধ্যে কাজ শেষ করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। তবে রথের দিনেও সকাল থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস ভবনের সামনে হাজির ছিলেন একাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। অনেকেই সেলফি তুলে রাখেন। অনেকেই আবার ভবনের ছবি তুলে রাখেন নিজের মুঠোফোনে।
ABIR GHOSHAL