এবছর ১৪ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত অরণ্য সপ্তাহ পালন করা হয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে। এবছর বন দফতরের পক্ষ থেকে বিধায়কদের কাছে বলা হয়েছিল যদি কেউ নিজেদের এলাকার জন্য গাছ চান, তাহলে চিঠি দিলেই সেই গাছ তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে রাজ্যের বন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা কিছুটা আফসোসের সঙ্গেই জানান, এখনও পর্যন্ত তাঁর কাছে এই গাছ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন মাত্র পাঁচ জন। এরমধ্যে দুইজন মন্ত্রী রয়েছেন। বাকি তিনজনই শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। বিজেপির কোনও বিধায়ক এখনও এই গাছ নেওয়ার জন্য আবেদন করেননি বলেই জানান তিনি।
advertisement
মন্ত্রী এটাও জানান, আপাতত এই সংখ্যা (যে কয়জন আবেদন করেছেন) তাঁর কাছে এসে পৌঁছেছে। হয়ত ডিএফও (District Forest Officer)-র কাছে আরও আবেদন জমা পড়েছে। সেই সংখ্যা পরে জানা যাবে। বনমন্ত্রী বলেন, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী এরাজ্যে একজন শিশু জন্ম নিলে তার জন্য ‘সবুজশ্রী’ প্রকল্পে একটি করে গাছ দেন। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী গাছ লাগানোর জন্য সকলকেই উৎসাহিত করেন, সেখানে কেন এখনও আরও বেশি আবেদন এল না সেটা অজানা। যে দুই মন্ত্রী গাছের জন্য আবেদন করেছেন এবং ইতিমধ্যেই গাছ নিয়ে নিজের এলাকায় লাগানোর ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা হলেন পূর্ত দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় ও খাদ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী জোৎস্না মান্ডি।
গাছ নিতে কেন অনীহা! এই বিষয়ে রাজ্যের এক মন্ত্রী জানালেন যে গাছ নিলাম, তার একটা সেলফি তুললাম, আর তারপর সেই গাছের বিষয় ভুলে গেলাম। এটা ঠিক নয়। গাছের পরিচর্যাও করতে হবে। সেটাই অনেকে করেন না বা গাছ লাগানোর পর আর খোঁজ খবরও রাখেন না। এইটা আটকাতে হবে। তাই এবার বন দফতর ঠিক করেছে যাঁরা গাছ নেবেন তাঁদের সেই গাছ পরিচর্যার বিষয়ে বন দফতরই সাহায্য করবে। তবে এক্ষেত্রে একটি সমস্যার কথা জানা গেল। বনমন্ত্রী বলেন, আগে এই গাছ লাগানোর কাজে একশো দিনের কর্মীদের কাজে লাগানো হত। তাঁরাই গাছ লাগানো থেকে শুরু করে তার পরিচর্যার দিকে নজর দিত। কিন্তু এখন একশো দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র আটকে রাখার ফলে এই কাজে একশো দিনের কর্মীদের আর কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ফলে সেটাও কিছুটা সমস্যায় ফেলেছে।