পুনরায় প্রেরিত এই তালিকায় মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে মোট ১৯ ধরনের পদাধিকারীরা তাঁদের গাড়িতে কী ধরনের বাতি ব্যবহার করতে পারবেন তা বলা হয়েছে। মূলত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই ২০১৪ সালের ১৯ জুন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যের পরিবহন দফতর। যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছিল। মূলত সাত বছর আগের নির্দেশিকা আবারও পাঠিয়ে কলকাতা পুলিশকে ফের নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিল পরিবহন দফতর।
advertisement
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই লাল বাতি ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণে রাজ্য পরিবহণ দফতর লালবাতি ও নীলবাতি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে৷ এই বিজ্ঞপ্তি মেনে ভারতরত্ন প্রাপক থেকে রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রতিমন্ত্রী, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার গাড়িতে ফ্লাশার-সহ লাল বাতি ব্যবহার করতে পারবেন না৷ তবে তাঁদের গাড়ির মাথায় লাল বাতি থাকতে পারে৷ কলকাতার মেয়রের গাড়িতেও ফ্লাশারবিহীন লাল আলো থাকতে পারে৷ গাড়ির মাথায় ফ্লাশার-সহ লালবাতি ব্যবহার করতে পারবেন রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি, রাজ্যের পূর্ণমন্ত্রী, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার এবং বিরোধী দলনেতা৷
এই নিয়ম অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট জেনারেল থেকে সরকারের সচিব পর্যায়ের আধিকারিক, রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ পুলিশের পদাধিকারিকরা গাড়িতে লাল আলো ব্যবহার করতে পারবে না৷ শুধুমাত্র মুখ্যসচিবের গাড়িতেই থাকবে লাল বাতি৷ বাকিরা নীল আলো ব্যবহার করতে পারবেন৷ এই তালিকায় রাখা হয়েছে ভারতরত্ন প্রাপক, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারও৷ দমকল, পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করার মতো জরুরি পরিষেবার গাড়িতে শুধু লাল আলোর পরিবর্তে লাল-নীল-সাদা তিন রঙের বাতি থাকবে৷
প্রসঙ্গত, ভুয়ো টিকা কাণ্ডে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের গ্রেফতারের পর রাজ্যে কত গাড়িতে লালবাতি এবং নীলবাতি লাগানো রয়েছে, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে তথ্য তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট। কসবায় জাল ভ্যাকসিন শিবির সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এই নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয় রাজ্য। শুধু তাই নয়, কত গাড়িতে স্বচ্ছ কাচের বদলে কালো কাচ লাগানো রয়েছে, এদিন তারও হিসেব চায় হাইকোর্ট।