টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ ও রাজাবাজার থেকে হাওড়া ব্রিজ অবধি দুই রুটে ট্রাম চলাচল শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা অবধি এই রুটে ট্রাম চলবে। ট্রাম চলবে ২৫ মিনিটা অন্তর। কোনও যাত্রী মাস্ক ছাড়া ট্রামে উঠতে পারবে না। প্রতিবার যাত্রার আগে ট্রাম স্যানিটাইজ করা হবে। এছাড়া ডিপো অবধি স্যানিটাইজ করা হবে। চালক ও কন্ডাক্টর পিপিই পরেন পরিষেবা দেবেন। রাজাবাজার থেকে হাওড়া ব্রিজ অবধি ট্রাম চলাচল আগেই শুরু হয়েছে। ২৫ মিনিট অন্তর ট্রাম চলছে শহরের অন্যতম এই ব্যস্ত রুটে।
advertisement
আপাতত ১৬টি ট্রাম সেট দিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই রুটের পরিষেবা। পিপিই পড়ে ডিউটি করছেন চালক ও কন্ডাক্টর। প্রথম দিন থেকেই এই রুটে যে সংখ্যক যাত্রী হয়েছে তাতে খুশি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ নিগম। গত মাসেই বালিগঞ্জ থেকে টালিগঞ্জ রুটে ট্রাম পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। এবার চালু হয়ে যাবে গড়িয়াহাট থেকে এসপ্ল্যানেড অবধি ট্রাম চলাচল। ইতিমধ্যেই এই রুটে পরীক্ষামূলক ভাবে ট্রাম চালানো হয়। প্রায় সাড়ে তিন মাস পরে চালু হয়েছে কলকাতার আইকনিক ট্রাম। বালিগঞ্জ থেকে টালিগঞ্জ অবধি প্রতিদিন ভালো যাত্রী নিয়েই ছুটছে ট্রাম।
এবার পরের লক্ষ্য বাকি ৩ রুটে ট্রাম পরিষেবা চালু করা। তার জন্যে ওভারহেড তারের মেরামতি ও লাইন সংষ্কারের কাজ দ্রুত গতিতে করতে বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ নিগম ও এইচআরবিসি-কে। চেষ্টা করা হচ্ছে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে ওভারহেড পোস্ট ও লাইন মেরামতের কাজ সেরে ফেলতে। কখনও সেতু সংষ্কার, কখনও আবার মেট্রোর কাজ। শহরে গতি আনতে গিয়ে গতি হারিয়ে বসেছিল কলকাতার ট্রাম। সেই গতি একেবারে বন্ধ হয়ে যায় লকডাউনের সময়ে। অবশেষে যাত্রী চাপ সামলানোর জন্য ফের পথে নামানো হয়েছে ট্রামকে।
১৪ জুন থেকে চালু হয়ে গেছে শহরে ট্রাম পরিষেবা। আপাতত ঠিক হয়েছে ৩০ মিনিট অন্তর বালিগঞ্জ থেকে টালিগঞ্জ রুটে মিলবে এই পরিষেবা। সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা অবধি পাওয়া যাচ্ছে এই পরিষেবা। এখন দু'কামরার ট্রাম চালানো শুরু হয়েছে। ট্রামের চালক ও কন্ডাক্টর উভয়েই পিপিই কিট পরা বাধ্যতামূলক । যত আসন তত যাত্রী নিয়ে পরিষেবা চালু হয়েছে। রাজ্য পরিবহন নিগম আশা করছে এখন থেকে যথেষ্ট যাত্রী হবে ট্রামে৷ এখন ট্রিপ শেষ করে ফেরার পরে বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ, রাজাবাজার ডিপোতে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে ট্রাম। হাওড়া ব্রিজ এলাকাতেও একই ভাবে ট্রাম স্যানিটাইজ করা হবে শীঘ্রই।
এর পরের লক্ষ্য কলকাতার বাকি ৩ ট্রাম রুটে যাত্রী পরিষেবা চালু করা। এসপ্ল্যানেড থেকে শ্যামবাজার, খিদিরপুর এবং নোনাপুকুর এবং বিধাননগর থেকে হাওড়া ব্রিজ অবধি ট্রাম পথে যাতায়াত। যদিও এই রুটের একাধিক জায়গায় ওভারহেড তার ঠিক করা গেলেও। কোথাও আবার ট্রাম লাইনের ওপরে গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই কাজ শেষ না হওয়া অবধি ট্রাম পরিষেবা আটকে থাকবে। তবে রাজ্য পরিবহন নিগম আশাবাদী সেই কাজ দ্রুত শেষ হয়ে চলবে এই সব রুটেও ট্রাম। ময়দানে চালানো হবে এক কামরার ট্রাম।