কিন্তু শফিকুলের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। রেলমন্ত্রী নিজে তাঁর বাড়িতে ডাক বিভাগের কর্মী পাঠিয়েছিলেন। তারা গিয়ে শফিকুলের গ্রামের বাড়িতে খবর দেয়। এর পরও শফিকুল কেমন আছে, তা নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিল তাঁর পরিবার৷ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে ফেসবুক লাইভ করেন ৷ অসমের মানুষ সেই লাইভে হাসপাতালে দেখতে পায় শফিকুলকে৷ ফলে যৌথ চেষ্টায় এবার নিশ্চিন্ত হয়েছে শফিকুলের পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুন-সিএএ নিয়ে সাবধানী মন্তব্য দিলীপ ঘোষের, মতুয়াদের ধৈর্য ধরার আবেদন তাঁর
দেবাংশু জানিয়েছেন, ‘‘ময়নাগুড়ি রেল দুর্ঘটনায় আহত হয় ছেলেটি। দুর্ঘটনার পর তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া কম্পার্টমেন্টে তার ফোন বা ব্যাগপত্র কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি। যুব শক্তির কর্মসূচিতে যখন হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে যাই তখন এই ছেলেটির সঙ্গে আলাপ হয়। সেদিন ফেসবুক লাইভে শফিকুল বলে এই ছেলেটির বাড়ির লোকের উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলাম তাদের বাড়ির ছেলে ভালো আছে। ফোন হারিয়ে গিয়েছে তাই যোগাযোগ করতে পারছে না। কেউ পরিচিত থাকলে যোগাযোগ করুন... অবশেষে এই পোস্টটি অসমের ধুলা নিবাসী একজন দেখতে পান এবং সেই এলাকায় মসজিদে নামাজে নাম ঘোষণার ব্যবস্থা করেন। সেখান থেকেই তার ভাই শফিকুলের সম্পর্কে জানতে পারে। আজ আপনাদের আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ছেলেটির সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। যারা এই ভিডিওটি শেয়ার করেছিলেন তাদের প্রত্যেককে অসংখ্য ধন্যবাদ।"
আরও পড়ুন-গান গেয়ে অভিনব কায়দায় লাড্ডু বিক্রি, মধ্যপ্রদেশের যুবকের ভিডিও ভাইরাল !
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, তারা সমস্ত আহত যাত্রীর পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। যাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না তাদের সাথে যোগাযোগ করানো হয়েছে। এমনকি বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। তবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে বেজায় খুশি শফিকুল। হাসপাতালের বেডে শুয়ে সে জানিয়েছে, ‘‘আবার একটা জীবন ফিরে পেলাম। হাসপাতালে এসে অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। কারণ বাড়ির কারোর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। সবাই আমার জন্যে যে ভাবে চেষ্টা করেছে তাতে আমি খুশি।’’
আবীর ঘোষাল
