মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানান, খাবারের গুণমান, ইকো ফ্রেন্ডলি পরিবেশ রাখা হয়েছে। তাই বিদেশিরা আসছেন বাংলায়। বিধানসভায় মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ২০২৩ সালে বাংলায় এসেছিলেন ১৪.৫ কোটি পর্যটক। আর ২০২২ সালে এসেছিলেন ৮.৪ কোটি পর্যটক। মন্ত্রী জানান, ২০২২ সালের মোট পর্যটকের মধ্যে ১০ লক্ষ ছিলেন বিদেশি। ইন্দ্রনীল দাবি করেন, পর্যটকদের সংখ্যার নিরিখে বাংলা এখন পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে থাকা কেরল এবং রাজস্থানকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। বাংলায় পর্যটকদের সুবিধা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মন্ত্রী জানান, রাজ্যে ৫,৩২২টি হোমস্টে রয়েছে। পর্যটন বিভাগ সেগুলি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে পরিষেবাকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করছে।
advertisement
একজন সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, হোম স্টে বৃদ্ধির মাধ্যমে সাংস্কৃতিক পর্যটন প্রচারের প্রচেষ্টা চলছে। বাংলায় যে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে সে প্রসঙ্গে বিভিন্ন পর্যটন সংস্থাও একমত। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থান এবং খরচ কম থাকার কারণে বাংলায় পর্যটন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সমৃদ্ধ মিশ্রণ রয়েছে। সেই কারণে পর্যটকরা ভ্রমণের জন্য পশ্চিমবঙ্গকে বেছে নিচ্ছেন। বাংলায় পর্যটক বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। বাংলার পর্যটন বৃদ্ধি কোনও দুর্ঘটনা নয়, বরং সরকার এবং শিল্পের কৌশলগত প্রচেষ্টার ফলাফল। বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে বাংলা এখন জায়গা করে নিয়েছে।