ফোরাম ফর দূর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু জানিয়েছেন, "বছর তিনেক আগে থেকে বিভিন্ন মন্ডপে স্টল দিতে শুরু করে রাজ্য পর্যটন দফতর। অনেকে সেখানে গিয়ে নানা খোঁজ খবর নিত৷ এবার পুজোর টানেই মানুষ ছুটে আসবে। আর সেই মন্ডপ থেকেই মিলবে নয়া বেড়াতে যাওয়ার ঠিকানার হদিশ।" রাজ্যের পর্যটন ব্যবসায় অন্যতম নাম কুন্ডু স্পেশাল। বাঙালির ভ্রমণ বলতে প্রথমেই উঠে আসে কুন্ডুর নাম। সেই কুন্ডু স্পেশালের অধিকর্তা সৌমিত্র কুন্ডু জানিয়েছেন, "আমরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছি, পুজোর মতো একটা ক্ষেত্রকে ব্যবহার করে আরও প্রসার ঘটানো হোক৷ আর এখন পুজোকে বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়ে দিল। ফলে পুজো ও বেড়ানো দুই দর্শন মিলেমিশে একাকার।"
advertisement
আরও পড়ুন: কড়া শীতের কাঁপুনি ধরতেই ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা, হাওয়া অফিসের Latest Updates
বিশেষ করে কোভিড পরবর্তী সময়ে বেশ ধাক্কা খেয়েছে পর্যটন শিল্প। সেটা এই স্বীকৃতির হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াতে পারে।মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই UNESCO এর স্বীকৃতি নিয়ে কতটা খুশি তা জানিয়েছেন। রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, "এটা মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ছিল। আজ সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে। আশা করি আমরা এর সুফল পাব৷"
আরও পড়ুন: 'প্রত্যেক ভারতবাসীর অন্তত একবার কলকাতার দুর্গাপুজো দেখা উচিৎ': নরেন্দ্র মোদি
রাজ্যের পর্যটন বিশেষজ্ঞ দেবজিত দত্ত বলছেন, "প্রতি জায়গার একটা নিজস্ব সংস্কৃতি থাকে৷ তার সাথে জুড়ে থাকে একটা ঐতিহ্য। দূর্গা পুজো এতবড় একটা ফেস্টিভ্যাল, যার সাথে বিভিন্ন স্তরের, বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সম্পর্ক জুড়ে আছে৷ তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষকে আমাদের কাছে টেনে নিয়ে আসতে হবে।" ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের কর্তা নীলাঞ্জন বসু জানিয়েছেন, "গত কয়েক বছর বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার সেটা ঢল নামবে বলে মনে হচ্ছে।"
ABIR GHOSHAL