১) কোণঠাসা অখিলেশ, ভাই আপন ছেলে পর নেতাজির
রাতভর ভুগিয়েছে দাঁতের যন্ত্রণা। কিন্তু চোখের সামনে নিজের হাতে গড়া রাজ্যপাট, নিজের পরিবার ভাঙতে দেখলে, দাঁতের কথা আর কারই বা মনে থাকে! দাঁতের ব্যথা ভুলে, দল ও পরিবারে দ্বন্দ্ব ধামাচাপা দিতে মুলায়ম সিংহ যাদব আজ বার্তা দিলেন, ‘আল ইজ ওয়েল’! ঘোষণা করলেন, সব ঠিকঠাক চলছে। পরিবার একজোট রয়েছে তাঁর। ঐক্যবদ্ধ রয়েছে দলও। বললেন বটে, কিন্তু ঐক্যের বার্তা দিতে গিয়ে ভাই শিবপাল সিংহ যাদব ও ছেলে অখিলেশ যাদবকে দু’পাশে দাঁড় করাতে পারলেন না। পাশে রইলেন ভাই শিবপাল। গরহাজির থেকে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী ছেলে।
advertisement
২) ভাগ বুঝে নেওয়ার যুদ্ধে অখিলেশ-প্রতীক
সুজনে বলছেন, এ যুগের রামায়ণ-মহাভারত। কখনও রামায়ণের মতো— কৈকেয়ী-মন্থরার গল্প। কখনও মহাভারতের মতো— পরিবারের মধ্যেই যুদ্ধ।
দুর্জনের আবার অন্য রা। তাঁরা বলছেন, ধুস! এটা আসলে চল্লিশ চোরের কাহিনি। সবাই ডাকাত! লুঠের ভাগ নিয়ে মারামারি।
রামায়ণ-মহাভারত যা-ই হোক, একটা কথা সকলেই বলছেন। উত্তরপ্রদেশের এই যাদব পরিবারটি গত পাঁচ বছরে লখনউয়ের তখতে থাকার সুবাদে ফুলেফেঁপে এমন বহরে পৌঁছেছে যে, এত দিন গোল বাধেনি কেন, সেটাই আশ্চর্যের। মুলায়ম সিংহ যাদবের পরিবারের আকার এত বড় যে, কার সঙ্গে কার কী সম্পর্ক, তা বুঝতে যাওয়া মানে লখনউয়ের ভুলভুলাইয়ায় ঢুকে পড়া! আর সেই পরিবারের সকলেই কেউকেটা! এ সাংসদ, ও মন্ত্রী, সে বিধায়ক, তিনি সরকারি নিগমের চেয়ারম্যান, নিদেনপক্ষে জেলা পঞ্চায়েত বা ব্লক উন্নয়ন পরিষদের প্রধান তো বটেই! যার দৌলতে সকলেই বিলক্ষণ ফুলেফেঁপে উঠেছেন। কেউ অর্থে, কেউ ক্ষমতায়। এখন সকলের গলাতেই ‘মোরে আরও আরও আরও দাও...’ সুর!
৩) মিস্ত্রিকে রুখতে আগাম আপিল টাটাদের
সাইরাস মিস্ত্রিকে সরিয়ে দেওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট, বম্বে হাইকোর্ট এবং ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনালে ক্যাভিয়েট (আগাম আপিল) দাখিল করল টাটা গোষ্ঠী। যাতে তাদের বক্তব্য না-শুনে সাইরাসকে সরানোর সিদ্ধান্ত মুলতুবি রাখার নির্দেশ আদালত দিতে না পারে।
সকাল থেকে খবর ছড়িয়েছিল যে, আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সাইরাসও। কিন্তু রাতে সাইরাসের দফতর থেকে জানানো হয়, এমন কোনও পদক্ষেপ করেননি সদ্য-প্রাক্তন টাটা কর্ণধার। শাপুরজি-পালোনজি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আপাতত পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে তারা। আইনি পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
৪) চোখের নীচে বসল জাল, ভাল আছেন অভিষেক
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্ত্রোপচার সফল এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে দু’দফায় প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে তাঁর চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আগামী সাত দিন তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ৭২ ঘণ্টা তাঁর সঙ্গে বাইরের কাউকে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হবে না।
১) সাইরাসের অপসারণ নিয়ে টাটা সাম্রাজ্যে দিনভর চাপানউতোর
রোর্ডরুম থেকে কোর্টরুম। সাইরাস মিস্ত্রিকে নিয়ে রহস্য অব্যাহত টাটা সাম্রাজ্যে। এবার দু’পক্ষই মামলার জন্য প্রস্তুত। টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে ক্যাভিয়েট ফাইল করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, মুম্বই হাইকোর্ট এবং কোম্পানি আইনের ট্রাইবুনালে। আজ দুপুর থেকে জল্পনা তুঙ্গে উঠল যে সাপুরজি পালনজির পক্ষ থেকেও ক্যাভিয়েট করা হয়েছে। যদিও সন্ধ্যায় সাপুরজি পালনজি গোষ্ঠী বিবৃতি দিয়ে জানায় তারা কোনও ক্যাভিয়েট করেনি। টাটারা কেন ক্যাভিয়েট করেছে? কারণ টাটা গোষ্ঠীর আশংকা, যে কোনও সময় সাইরাস মিস্ত্রিকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে আদালতে মামলা করতে পারে সাপুরজি পালনজি গোষ্ঠী। দীর্ঘদিনের পারিবারিক তথা কর্পোরেট মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ দেশের দুই প্রথম সারির শিল্পগোষ্ঠীর মধ্যে রাতারাতি চলে এসেছে বৈরিতা আর অবিশ্বাসের মনোভাব। সাইরাস মিস্ত্রিকে সরিয়ে দেওয়ার প্রকৃত কারণ নিয়ে আজ দেশজুড়ে চর্চা ও জল্পনা চললেও টাটা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি এখনও।
২) বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেত্রী কামড়ে মাংস ছিঁড়ে নিলেন পুলিশের
শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের হাতে রাজ্যে ফের আক্রান্ত হল পুলিশ। এবার হাওড়ার সাঁকরাইলের প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শীতল সর্দারের সামনেই তাঁর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেত্রী ঝুমঝুম নস্করের এবং তৃণমূল যুবনেতা রবিশংকর দাসের (বাবুসোনা) বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধর, আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সরকারি কাজে বাধাসহ জামিনঅযোগ্য বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। সাঁকরাইল থানার এসআই সুমন্ত দাসের হাতে কামড় দিয়ে মাংস খুবলে দগদগে ঘা করে দেওয়া হয়েছে। হাওড়া সদরের তৃণমূল এসসি-এসটি সেলের চেয়ারপার্সন ঝুমঝুমের বিরুদ্ধে এসআই সুমন্ত দাসকে কামড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। সুমন্তবাবুর সঙ্গী আর এক পুলিশকর্মীকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এসআইয়ের জামার একটি হাতাসহ অর্ধেকটাই ছিঁড়ে নেওয়া হয়।
৩) রহস্যজনকভাবে বহুতলের টেরেস থেকে পড়ে মৃত্যু হল সাউথ পয়েন্ট স্কুলের একাদশ শ্রেণির এক মেধাবী ছাত্রীর। নাম অনুষ্কা মণ্ডল (১৬)। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে কলকাতার নেতাজিনগর থানার নারকেল বাগান এলাকায়। কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসডি) বি ভি চন্দ্রশেখর এই খবর জানিয়েছেন। অনুষ্কার মৃত্যু আত্মহত্যা, নাকি দুর্ঘটনা? যা নিয়ে তীব্র রহস্য তৈরি হয়েছে। গোয়েন্দারা অবশ্য বলছেন, প্রাথমিকভাবে এটা দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে।
৪) অভিষেকের ২ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার সফল
সমস্ত রকমের উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগের অবসান হল। রাজনৈতিক মহলে তৃণমূলের ‘যুবরাজ’ তরুণ এমপি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপারেশন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হল। মঙ্গলবার দুপুর ১টা ১০মিনিট থেকে ৩টে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে ডাক্তারদের পরিভাষায় এই ‘অরবিটাল ফ্লোর রিপেয়ার’ নামে অপারেশন। যাতে পথ দুর্ঘটনায় জখম অভিষেকের চোখের নীচের ভাঙা হাড়টি অত্যন্ত সুচারুভাবে সরিয়ে সেখানে একটি টাইটেনিয়াম মেস (এক ধরনের ধাতব জালি) লাগিয়ে দেওয়া হয়। এদিন অপারেশন থিয়েটারে এই গোটা পর্বটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নক্ষত্র-চিকিৎসকদের সমাবেশ ঘটে।