১) ‘কাম কি বাত’-এ মোদীকে নিশানা রাহুল-অখিলেশের
চওড়া হাসি। ব্যক্তিগত আক্রমণে না গিয়ে পরিণত জবাব। পাখির চোখ যুব সমাজের ভোট। এবং নিশানায় নরেন্দ্র মোদী। উত্তরপ্রদেশের প্রথম দফার ভোটের দিন রাহুল গাঁধী-অখিলেশ যাদবের যুগলবন্দি বোঝাল, দু’জনেই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। সেই আত্মবিশ্বাসে ভর করেই গত কয়েক দিনে নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত আক্রমণের পরিণত জবাব দিলেন রাহুল-অখিলেশ। ‘কাম কি বাত’ (কাজের কথা) দিয়েই জবাব দিলেন মোদীর কটাক্ষের। লখনউয়ে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করলেন, ক্ষমতায় এলে প্রধান কোন ১০টি প্রতিশ্রুতি পালন করবে সপা-কংগ্রেস সরকার। গত দু’-তিন দিন ধরেই ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে রাজ্যসভায় তাঁর পূর্বসূরি মনমোহন সিংহকে দুর্নীতি থেকে গা বাঁচানো নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, ‘বর্ষাতি পরে স্নান করা ওঁর থেকে শিখতে হয়’! এর পর গত কাল রাহুলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ওঁর নামে গুগল খুঁজলে সব থেকে বেশি জোক্স মেলে’!
advertisement
২) আখলাকের পরিবার নেই দাদরিতে, তবু ছায়া ভোটে
সাদা চোখে উত্তরপ্রদেশের আর পাঁচটা গ্রামের সঙ্গে বিসারার কোনও ফারাক নেই। দিল্লি লাগোয়া উত্তরপ্রদেশের গৌতমবুদ্ধ নগর জেলার দাদরি এলাকার এই গ্রামেও আজ ছিল ভোটযজ্ঞের আয়োজন। আর পাঁচটা গ্রামের মতোই। আজ উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফার বিধানসভা ভোটে ১৫টি জেলার ৭৩টি আসনে ৬৪.২ শতাংশ ভোট পড়েছে। পাঁচ বছর আগে এখানে ভোটের হার ছিল ৬১.২ শতাংশ। অর্থাৎ ভোট বেড়েছে। কিন্তু যে পরিবারের একটি বিপর্যয়ের জন্য জাতীয় রাজনীতির পটে দাদরির পরিচিতি, সেই মহম্মদ আখলাকের পরিবারই আজ ছিল ভোটযজ্ঞে অনুপস্থিত।
৩) রাজ্যের ভাগ্য ঝুলেই, আজ থেকে আন্দোলনে শশী
ঝুলে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়। সেই সঙ্গে ঝুলে আছে তামিলনাড়ুর ভাগ্যও। সেই সুযোগে চলছে দল বদলের খেলা। বহু চেষ্টা করেও পনীরসেলভমের পাল্লা ভারি হওয়া রুখতে পারছে না শশিকলা নটরাজনের শিবির। শশিকলার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় এক সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। সেই রায়ের জন্য যে রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর রাও অন্তত আগামী সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শীর্ষ আদালতে সোমবারের কার্যতালিকায় এখনও নেই এই মামলা। ফলে কবে এই রায় ঘোষণা হবে তা আরও অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। রাজ্যপালের উপরে চাপ আরও বাড়াতে চাইছে শশিকলা নটরাজনের শিবির। রাজ্যপালকে আজ ফের একটি চিঠি পাঠিয়ে শশিকলা জানিয়েছেন, পনীরসেলভম মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পরে সাত দিন কেটে গিয়েছে। এখনই তাঁকে শপথ নিতে দেওয়া উচিত। চিঠিতে শশিকলা লিখেছেন, ‘‘আমরা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি। তার পরে সকলে মিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।’’
৪) ফিরতে ৫০ বছর, দু’চোখ জলে ভরা ওয়াংয়ের
পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে দেশের মাটিতে পা রেখে কেঁদে ফেললেন প্রাক্তন চিনা সৈনিক ওয়াং কি। সেই কবে, ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের পর পরই হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তখন সাতাশের যুবক। পথ হারিয়ে শত্রু দেশের সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি হলেন ওয়াং। পরের কিছু বছর জেল কুঠুরির বন্দি-জীবন। দু’দেশের নিয়মের ফাঁসে জড়িয়ে আর ঘরে ফেরা হয়নি তাঁর। সেই সব স্মৃতির ভারেই তখন হয়তো ঝাপসা হয়ে আসছিল বৃদ্ধের দু’চোখ। শেষ পর্যন্ত ভারত ও চিন সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় শনিবার বেজিং-এর বিমানবন্দরে আত্মীয়-স্বজনকে কাছে পেয়েও তাই বিশ্বাস হচ্ছিল না ৭৭ বছরের বৃদ্ধের। সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় স্ত্রী সুশীলা, ছেলে বিষ্ণু, পুত্রবধূ নেহা এবং নাতনি কনক। বিমানবন্দরে ছিলেন চিন ও ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরাও। স্বজনদের সঙ্গে ভিনদেশি পরিবারের আলাপ করিয়ে এ দিনই শানসি প্রদেশে নিজের গ্রামের উদ্দেশে রওনা হলেন ওয়াং।
১) প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ৩ বছরে ১০ হাজার কোটি রাজস্ব বৃদ্ধি রাজ্যে
শত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও রাজ্যে রাজস্ব আদায়ের হার গত কয়েক বছরে অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। কর কাঠামোর সংস্কার, কর আদায় নীতির আমূল পরিবর্তন এবং অনলাইন ব্যবস্থার উপযুক্ত প্রয়োগের ফলেই এই সাফল্য এসেছে বলে অর্থ দপ্তরের কর্তাদের একাংশের দাবি। শুক্রবার বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছেন, ই-ট্যাক্সেশন সংস্কারে অন্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনামূলক ভিত্তিতে এক নম্বর স্থান অর্জন করেছে পশ্চিমবঙ্গ। ভ্যাট, স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থার সরলীকরণ কর আদায়ের গ্রাফকে ঊর্ধ্বমুখী করতে অনুঘটকের কাজ করেছে বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে যেখানে রাজ্যের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৪১১ কোটি টাকা, পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছিল ৪২ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে অর্থাৎ ২০১৬-১৭ তে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, মাত্র তিনটি অর্থবর্ষে রাজ্যের কর আদায়ের পরিমাণ এক লাফে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে।
২) আকাঙ্ক্ষা হত্যাকাণ্ড: গলা টিপে খুনের আগে চায়ে ঘুমের ওষুধ দিয়েছিল উদয়ন
খুন করার ঘণ্টা দু’য়েক আগে আকাঙ্ক্ষাকে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ ও চিকেন স্যান্ডউইচ খেতে দিয়েছিল উদয়ন। খুন করার সময় যাতে কঠিন প্রতিরোধের মুখে পড়তে না হয় তার জন্যই উদয়ন এটা করেছিল। সে তার বাবা ও মাকে খুনের আগেও একইভাবে ঘুমের ওষুধ খাইয়েছিল। বাঁকুড়া পুলিশের জেরায় তিন তিনটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত উদয়ন দাস এমনটাই জানিয়েছে। ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই সকাল ৯টা নাগাদ ঘুম থেকে ওঠে আকাঙ্ক্ষা। তারপর তাকে চা ও চিকেন স্যান্ডউইচ খেতে দিয়েছিল উদয়ন। বেলা ১১টা নাগাদ প্রেমিকা আকাঙ্ক্ষা শর্মাকে সে শ্বাসরোধ করে মারে।
৩) মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচে আবেগে এগিয়ে ইস্ট বেঙ্গল, সনির ভরসাতেই আছে বাগান
একেবারে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে দু’প্রধানের ফুটবলাররা। কর্তাদের ফরমান জারি, মিডিয়ার সঙ্গে কোনও কথা বলা যাবে না। ডার্বির আগেরদিন সকালে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্গা স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিস শেষ করে বুকেনিয়া-সনিরা কানে হেড ফোন লাগিয়ে টিমবাসে উঠে গেলেন রোবটের মতো গটগট করে হেঁটে। পাছে ফোকাস নষ্ট হয়। শনিবার দু’দলের কর্তারা মিনিট পনেরো মিডিয়াকে প্র্যাকটিস দেখার অনুমতি দেওয়ার পর মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। নিজেদের স্ট্র্যাটেজি ফাঁস না হওয়ার জন্য মিডিয়ার সামনে দুই প্রধানের চরম গোপনীয়তা রক্ষা। তাতে কী ফুটবলার, সদস্য-সমর্থকদের মধ্যে ডার্বির উত্তাপ কমে? সাত সকালে জোড়া ইলিশ নিয়ে স্টেডিয়ামে হাজির কলকাতা থেকে আসা জনা কয়েক ইস্ট বেঙ্গল সমর্থক। প্র্যাকটিস শুরু ও শেষে প্রথমে উইলিস প্লাজা, পরে রবিন সিংকে নিয়ে জয়ধ্বনি। টিমবাসে উঠে যাওয়ার পর ডার্বির ক্যাপ্টেন লালরিনডিকা রালতের উদ্দাম নৃত্য। বাসের জানালার কাঁচ সরিয়ে প্লাজার মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার প্রবল আকুতি। কিন্তু ক্লাবের কড়া নির্দেশে তিনিও অসহায়। প্লাজাও তাকে উপেক্ষা করেন কিভাবে?
৪) ফেসবুকে ‘সুইসাইড নোট’, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, উলুবেড়িয়ায় ব্যাংককর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার
শুক্রবার রাতে উলুবেড়িয়া ও ফুলেশ্বর স্টেশনের মাঝে একটি ব্রিজের কাছে রেললাইনের ধার থেকে এক ব্যাংককর্মীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রজত চৌধুরি (৪৫)। ওই ঘটনায় উলুবেড়িয়া এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উলুবেড়িয়া থানার বৃন্দাবনপুরের বাসিন্দা রজতবাবু এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। রেল পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই ব্যক্তি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ তাঁর মোটর সাইকেলটি ব্যাংকের কাছ থেকেই উদ্ধার করে। হেলমেট ও চাবিও সামনেই মেলে। উলুবেড়িয়া থানা এবং রেলপুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে