দক্ষিণ কোরিয়া শুধু করোনাকে ঠেকিয়ে রেখেছে তাই নয়, তারা কোনও সময় ভেঙে পড়েনি। সেখানকার জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গণহারে টেস্টিং ফেসিলিটি নীতি নিয়েছিল। সেই পথেই হাঁটছে আমাদের রাজ্য। বর্তমানে রাজ্যে গণহারে টেস্ট করা হচ্ছে। আগামিদিনে উপসর্গ থাকলে টেস্ট না করে কাউকে ঘুরে বেড়াতে দেওয়া হবে না। কারণ, একজনের শরীরে এই করোনা ভাইরাস ঢুকলে, তা ন্যূনতম চারজনের শরীরে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়াবে। যে কোনও জায়গায় জমায়েত নিষিদ্ধ করতে কড়া হাতে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য। উন্নত দেশগুলির একাধিক ভুলের কারণে সংক্রমণে মৃত্যুর হার বেড়েছে। বহু প্রথম বিশ্বের দেশে করোনা পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, যে পরীক্ষা করার মতো অবস্থাতেও নেই। এমন পরিস্থিতি যাতে না হয় তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, করোনা পরীক্ষার কেন্দ্র বাড়ানো হোক।
advertisement
'হ্যামার অ্যান্ড ডান' থিওরি। বৈশিষ্ট হল, লকডাউনের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা আটকানো। এর ফলে করোনাকে বশে আনার মত এবং একই সঙ্গে যখনই তার সংক্রমণের গতিপথ ধীর হবে রাজ্য সরকারও নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার সময় পাবে। তখন ব্যাপকভাবে করোনা উপসর্গ থাকা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে এমনই মনে করা হচ্ছে। এর সঙ্গে মানুষের সচেতনতা আরও যাতে বাড়ে সে চেষ্টাও করা হচ্ছে। যত বেশি সম্ভব মানুষ সচেতন ও সতর্ক হবে,ততই দ্রুত এই করোনা ভাইরাসকে আটকানো সম্ভব বলে মনে করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
ABHIJIT CHANDA