ঠিক কী বলা হচ্ছে ওই ভিডিওয়? দেখা যাচ্ছে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলছেন, "সিআরপিএফ-কে বলে দেবো গুলি যেন বুক লক্ষ্য করে যায়। গুলি যেন পা লক্ষ্য করে না যায়। এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, পুলিশকে থানার মধ্যেই আটকে রেখে দেবো। থানার বাইরে বেরোতে দেবো না। নিশ্চিন্তে থাকুন ভোটের সময় এই পুলিশ শুধু প্যারেড করবে। এমন বাড়াবাড়ি দেখানো হবে , দৌড়ে যাবে আর খাটিয়াতে ফিরবে।" তৃণমূল চাইছে শীতলকুচির মর্মান্তিক ঘটনাকে এই বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে পড়তে ও পড়াতে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজপির অঙ্গুলিহেলনে চলছে-তা প্রমাণ করতে।
advertisement
শনিবার ভোটচতুর্থীতে রক্তাক্ত হয়েছে শীতলকুচির জোড়াপাটকি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে বাহিনী। অন্য দিকে বাহিনীর তরফে বলা হয়েছে গুলি চালনা হয়েছে আত্মরক্ষার্থেই। বাহিনীর রাইফেল কেড়ে নেওয়ার ্অভিযোগও উঠেছে। আর এই নিয়েই সরব রাজ্য রাজনীতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্থির করেছিলেন, শীতলকুচি যাবেন, কিন্তু কমিশনের নিষেধাজ্ঞায় আপাতত তিনি ঢুকতে পারছেন না সেখানে। কিন্তু সভাস্থল থেকে সুর চড়াচ্ছেন অমিত শাহের নাম করে। তাঁর ইস্তফাও দাবি করছেন তিনি এর মধ্যেই ভোটবাজারে এই নতুন ভিডিও তৃণমূলের অস্ত্র। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য বলছেন, ভোটের সময়ে পায়ের তলায় জমি হারিয়েই পুরনো ভিডিও তুলে আনছে তৃণমূল।
