রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সহজপথে কোনও কিছুই হয়নি। এই লড়াইয়ের পথ ছিল কঠিন। বাম আমল থেকে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম-সহ একাধিক গণ আন্দোলন হয়েছে। সরকার গঠনের পরেও বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে বাস্তবের যোগসূত্র দেখা হয়েছে। সেটাও দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে, মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রেখে। এর মিলিত প্রয়াসে একের পর এক নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস সাফল্য পেয়েছে। ফলে সমাজের প্রতিটা শ্রেণির সঙ্গে যে যোগাযোগ তৈরি করতে পারা গিয়েছে, সেটাকেই প্রচারের আলোয় সকলের সামনে নিয়ে যেতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস।
advertisement
আরও পড়ুন : তাপমাত্রা অনেকটাই কমল কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশিরভাগ জেলায়, আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে?
২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সমস্ত নির্বাচনে সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর পিছনে একটা বড় অংশ মহিলা ভোট। তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা ভোটে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করেছে বিরোধীরা, এমনটা অভিযোগ ছিল। কিন্তু মহিলা ভোট ধরে রাখতে পেরেছে শাসক দল। বিধানসভা ভোটের আগে হাতে এক বছর সময় আছে। মহিলা সংগঠনে তাই জোর দিচ্ছে শাসক দল। আর সেই কারণেই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ বা রাজনৈতিক কৌশলকে দীক্ষা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচির আকারে নিয়ে আসছে শাসক দল। এছাড়া ‘আলাপচারিতা’ এই কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহিলা সংগঠনের সম্মেলন আয়োজন করবে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের মতে, মহিলাদের পাশেই আছি, এই বার্তা পুরোপুরি তুলে ধরতে চায় শাসক দল। আজ বেলা একটায় এই আলাপচারিতা কর্মসূচির সূচনা করবেন তৃণমূলের মহিলা সংগঠন সভাপতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ।