তৃণমূলের পাল্টা বিজেপিও শাসক দলকে নিশানা করেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন, ‘‘নাটক আমরা করি না। ওরা করে। কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প বাংলায় নাম পরিবর্তন। এটা কি নাটক নয়? ওরা উন্নয়ন করে না, শুধু বিতর্কই করে।’’ গেরুয়া শিবিরের প্রশ্নের উত্তরে শাসকদলের 'খোঁচা,' সুকান্তবাবুরা মেট্রোর ভেতরে থাকে। আর আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের পাশে থাকে। পথে থাকে। তফাৎ এটাই।’’
advertisement
আরও পড়ুন- শিয়ালদহ স্টেশনেই লক্ষ্মী লাভ মেট্রোর
সোমবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও বৃহস্পতিবার থেকে মেট্রোর যাত্রী পরিষেবা শুরু হয়েছে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত। প্রথম দিনের মেট্রো পরিষেবায় আর পাঁচজন যাত্রীর সঙ্গে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত সফর করেন সুকান্ত মজুমদার। সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কথাও বলেন। বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টা নাগাদ শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনে এসে উপস্থিত হন সুকান্তবাবু। সুকান্ত মজুমদার এস্কেলেটর দিয়ে নেমে স্টেশন চত্বরে পৌঁছতেই তাঁকে শিয়ালদহ মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এরপর সুকান্ত মজুমদারকে দেখা যায় সোজা টিকিট কাউন্টারের দিকে যেতে।
আরও পড়ুন- দুর্নীতি ইস্যুতে দলীয় মন্ত্রীর বক্তব্য খারিজ বঙ্গ বিজেপির
শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ভাড়া দিয়ে কাউন্টার থেকে টোকেন সংগ্রহ করে প্রবেশ করেন প্ল্যাটফর্মে। বেশ কিছুক্ষণ ঘুরে দেখেন নবনির্মিত মেট্রো স্টেশনের আনাচ-কানাচ। । প্ল্যাটফর্মে মেট্রো আসা মাত্রই উঠে পড়েন মেট্রোয়। ভিড়ে ঠাসা মেট্রোয় অন্যান্য সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থেকেই সফর শুরু করেন সুকান্ত মজুমদার। মেট্রোর ভিতরে তখন দলীয় কর্মী সমর্থকদের স্লোগান ‘‘নরেন্দ্র মোদি জিন্দাবাদ। মেট্রোয় সফর করার সময় সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, এই মেট্রো পরিষেবা শুধু কলকাতার নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ উপকৃত হবে। প্রধানমন্ত্রী এবং রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতেই ঐতিহাসিক দিনে আমিও সাক্ষী থাকলাম।’’ এবার গেরুয়া শিবিরের মেট্রো সফরকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে।